2000 Notes

২০০০ টাকার নোট ফেরাতে আরও সময় দেওয়া হল, শেষ দিন পেরিয়ে গেলে কী করতে হবে?

আরবিআই ১৯ মে জানিয়েছিল, ২০০০ টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়া হবে। ৩০ সেপ্টেম্বরের পর থেকে ওই নোট আর কার্যকর হবে না। এখনও পর্যন্ত ৩ লক্ষ ৪২ হাজার কোটি মূল্যের নোট ব্যাঙ্কে জমা পড়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:৪৩

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

২০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার শেষ সময়সীমা কিছুটা বৃদ্ধি করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, গোলাপি নোট জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর। আরবিআই জানিয়েছে, নোট জমা দেওয়ার শেষ দিন আরও এক সপ্তাহ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। অর্থাৎ, ২০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার শেষ দিন আগামী ৭ অক্টোবর। কারও সংগ্রহে ২০০০ টাকার নোট থাকলে এই সময়ের মধ্যে তা জমা দিয়ে আসতে হবে। তার পর থেকে গোলাপি নোট অকেজো হয়ে যাবে।

Advertisement

আরবিআই গত ১৯ মে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, ২০০০ টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়া হবে। ৩০ সেপ্টেম্বরের পর থেকে ওই নোট আর কার্যকর করা যাবে না। পরিসংখ্যান বলছে, সেই থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩ লক্ষ ৪২ হাজার কোটি মূল্যের গোলাপি নোট ব্যাঙ্কে জমা পড়েছে। তবে এখনও বেশ কিছুটা বাকি আছে।

এখনও অন্তত ১৪ হাজার কোটি মূল্যের ২০০০ টাকার নোট বাজারে ছড়িয়ে রয়েছে। ৭ অক্টোবরের মধ্যে সেই নোটগুলি ব্যাঙ্কে জমা দিতে হবে গ্রাহকদের। ৮ অক্টোবর থেকে কোনও ব্যাঙ্কেই আর গোলাপি নোট জমা নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে আরবিআই।

৭ অক্টোবরের পরেও যদি কারও কাছে ২০০০ টাকার নোট থেকে যায়? সে ক্ষেত্রে কী করণীয়, তা-ও বলে দিয়েছে আরবিআই। সে ক্ষেত্রে গ্রাহকদের ২০০০ টাকার নোট নিয়ে সরাসরি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের দফতরে যেতে হবে। ১৯টি এমন দফতর রয়েছে। সেখানে এক বারে ২০ হাজার টাকার বেশি অবশ্য ২০০০ টাকা জমা নেওয়া হবে না। ডাকযোগেও গোলাপি নোট আরবিআইয়ের অফিসে পাঠানো যাবে। সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সেই টাকা ঢুকে যাবে। তবে এই গোলাপি নোট কোনও আদানপ্রদানের কাজে আর ব্যবহার করা যাবে না। ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে গোলাপি নোট প্রথম চালু করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন
Advertisement