প্রতীকী ছবি।
রাত পোহালেই রাজ্যসভা নির্বাচন। কিন্তু ঘর ভাঙার প্রবল আশঙ্কা রাজস্থান কংগ্রেস শিবিরে। অভিযোগ, বিধায়ক কিনতে টাকার থলি নিয়ে ঘুরছেন বিজেপি নেতারা। তাই রাজ্যসভা ভোটের আগে বিজেপির হানাদারি রুখতে নিজেদের বিধায়কদের উদয়পুরের অদূরে একটি রিসর্টে ‘বন্দি’ করে রাখার কৌশল নিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।সেখানে নজরদারি আর দফায় দফায় বৈঠক তো চলছেই, সেই সঙ্গে বিধায়কদের জন্য রয়েছে দেদার মনোরঞ্জনের আয়োজন। আধুনিক জিমে শরীরচর্চা, গানবাজনার পাশাপাশি থাকছে ম্যাজিক শোয়ের ব্যবস্থাও!
পিছিয়ে নেই বিজেপিও। কংগ্রেসের দুঁদে নেতা তথা মরুরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের ‘নজর’ এড়াতে বিধায়কদের রাজধানী জয়পুরের উপকণ্ঠে জামডোলির একটি বিলাসবহুল হোটেলে রাখা হয়েছে। বিজেপি সূত্রের খবর, দলীয় বিধায়কদের জন্য হোটেলর মোট ৬০টি ঘর বুক করা হয়েছে। প্রতিটি ঘরের দৈনিক ভাড়া ১০ হাজার টাকা।
শুক্রবার (১০ জুন) দেশের ১৫টি রাজ্যে ৫৭টি আসনে রাজ্যসভা নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইতিমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন ১১ রাজ্যের ৪১ জন প্রার্থী। ফলে চার রাজ্যের ১৬টি আসনে ভোট হবে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে ৬টি, কর্নাটকে ৪ এবং হরিয়ানায় ২টির পাশাপাশি রয়েছে রাজস্থানের ৪টি রাজ্যসভা আসন। ওই রাজ্যের চারটি আসনের মধ্যে বিজেপির একটি আসনে জয় নিশ্চিত। বাকি তিনটি আসনে দলীয় প্রার্থী রণদীপ সুরজেওয়ালা, মুকুল ওয়াসনিক ও প্রমোদ তিওয়ারির জয় নিশ্চিত বলে প্রাথমিক ভাবে ধরে নিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। কিন্তু ঘনশ্যাম তিওয়ারির পরে মিডিয়া ব্যবসায়ী সুভাষ চন্দ্রের নাম ঘোষণা করে লড়াই ‘উত্তেজনাপূর্ণ’ করে তুলেছে পদ্ম-শিবির।
২০০ আসনের রাজস্থান বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ১০৮। বিজেপির ৭১। ওই রাজ্যে একটি রাজ্যসভার আসন জিততে কোনও প্রার্থীকে ৪১ জনের সমর্থন পেতে হবে। সেই হিসাবে কংগ্রেসের দুই প্রার্থীর জেতার পরে বাড়তি ভোট পড়ে থাকছে ২৬টি। আবার বিজেপির প্রথম প্রার্থীকে জেতানোর পরে হাতে থাকছে ৩০টি ভোট। কংগ্রেস ১২ জন নির্দল, সিপিএমের ২ ও ভারতীয় ট্রাইবাল পার্টির ২ বিধায়কের ভোট পেতে পারে বলে রাজনৈতিক সূত্রের খবর। অন্য দিকে, হনুমান বেনিওয়ালের ভারতীয় লোকতান্ত্রিক পার্টির ৩ বিধায়কের ভোট পেতে পারেন বিজেপি প্রার্থী সুভাষ। কিন্তু তার পরেও সুভাষের ৮টি ভোট দরকার। এই ৮টি ভোট কংগ্রেসের ‘বিক্ষুব্ধ শিবির’ থেকে আসবে বলে রাজ্য বিজেপির একাংশের দাবি।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।