অমিত শাহ এবং নরেন্দ্র মোদী। — ফাইল চিত্র।
মরুরাজ্যে চাপের মুখে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ জুটি। সঙ্কট আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী বাছাই নিয়ে। জেতা আসনে জয়ী প্রার্থীদেরই রাখা হবে, না কি নতুন মুখ এনে ভোটের লড়াইকে নতুন মাত্রা দেওয়া হবে, সেই নিয়েই দোলাচলে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। দ্বন্দ্ব আরও বাড়ছে বিক্ষুব্ধরা প্রকাশ্যে মুখ খুলতে শুরু করায়।
গত ৯ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন ভোটের দিন ঘোষণার পরেই ২০০ আসনের রাজস্থান বিধানসভায় প্রথম দফায় ৪১ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে বিজেপি। এর মধ্যে রয়েছেন সাত জন লোকসভা সাংসদ। জয়পুর গ্রামীণ কেন্দ্রের সাংসদ, প্রাক্তন অলিম্পিক পদকজয়ী শুটার রাজ্যবর্ধন রাঠৌর লড়বেন জয়পুরেরই জোটওয়ারা কেন্দ্রে।
অন্য দিকে, জয়পুর রাজপরিবারের সদস্যা তথা জয়সমন্দ কেন্দ্রের সাংসদ দিয়া কুমারিকে জয়পুরের বিদ্যাধরনগরে প্রার্থী করেছে বিজেপি। কিরোরিলাল মীনা, বাবা বালকনাথ, ভগীরথ চৌধুরী, দেবজী পটেল, নরেন্দ্র কুমারের মতো সাংসদদের নামও রয়েছে প্রার্থিতালিকায়। তবে ‘তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে’ প্রথম তালিকায় নেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের নাম।
বস্তুত, বসুন্ধরার ‘ঘনিষ্ঠ’ এক জন নেতাও বিজেপির প্রথম প্রার্থিতালিকায় ঠাঁই পাননি। রাজপাল সিংহ শেখওয়াত, নরপত সিংহ রজভি, অনিতা সিংহের মতো বসুন্ধরা অনুগামীরা তাঁদের খাসতালুকে টিকিট পাননি। জোটওয়াড়া থেকে সাংসদ রাজ্যবর্ধনকে টিকিট দেওয়ায় বাদ পড়েছেন রাজপাল। বিদ্যাধরনগর আসনে পাঁচ বারের বিধায়ক নরপত সিংহের বদলে সাংসদ দিয়া টিকিট পাওয়ায় মাথাচাড়া দিয়েছে বিক্ষোভ। জয়পুরে রাজ্য বিজেপির দফতরেও কয়েক দফা চড়াও হয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে দলের ঐক্য ফেরাতে সক্রিয় হয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি সিপি জোশী। শুক্রবার রাজ্য বিজেপির পদাধিকারিদের সঙ্গে বৈঠকের পরে তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি আমাদের দল। পদ্ম প্রতীকের প্রার্থী আমাদের প্রার্থী। এক জন সাংসদও এক জন দলীয় কর্মী, তিনি একই এলাকার বাসিন্দা। তিনি বহিরাগত কেউ নন।’’ তাঁর এই মন্তব্যের পরে রাজ্য বিজেপিতে জল্পনা, পরবর্তী প্রার্থিতালিকাগুলিতে আরও কয়েক জন সাংসদকে ঠাঁই দেওয়া হবে।’’