পর্নোগ্রাফিকাণ্ডে মুম্বইয়ের শিল্পপতি রাজ কুন্দ্রাকে তলব করেছে ইডি। —ফাইল চিত্র।
পর্নোগ্রাফিকাণ্ডে এ বার বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টির স্বামী তথা মুম্বইয়ের শিল্পপতি রাজ কুন্দ্রাকে তলব করল ইডি। পর্নোগ্রাফি মামলায় আর্থিক তছরুপের অভিযোগের তদন্ত করছে তারা। গত শুক্রবার মুম্বইয়ে রাজের বাড়িতেও হানা দিয়েছিল ইডি। দীর্ঘ ক্ষণ সেখানে তল্লাশি চালানো হয়। রাজের দফতরেও তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা। দু’দিনের মাথায় তাঁকে ডেকে পাঠানো হল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
সূত্রের খবর, ইডির মুম্বইয়ের দফতরে রাজকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সোমবার সকাল ১১টার মধ্যে তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। এই মামলার সঙ্গে জড়িত অন্য অভিযুক্তদেরও তলব করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
চলতি সপ্তাহে পর্নোগ্রাফিকাণ্ডের তদন্তে মুম্বই এবং উত্তরপ্রদেশের অন্তত ১৫টি জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। তার পর রাজের বাড়িতেও হানা দিয়েছিল তারা। ইডি আধিকারিকেরা চলে যাওয়ার পর একটি বিবৃতি দেন রাজ। জানান, তিনি কেন্দ্রীয় সংস্থার সঙ্গে এই তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছেন। কোনও ভাবেই সত্যকে ঢাকা দেওয়া যাবে না বলে দাবিও করেন তিনি। বাড়িতে ইডি তল্লাশির সঙ্গে শিল্পার প্রসঙ্গ টানায় সংবাদমাধ্যমের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশও করেছেন রাজ।
২০২১ সালের জুন মাসে পর্নোগ্রাফি তৈরির অভিযোগে রাজকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। দু’মাস জেলে ছিলেন শিল্পার স্বামী। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে তিনি জামিন পান। পর্নোগ্রাফি মামলায় রাজকেই মূল চক্রান্তকারী হিসাবে চিহ্নিত করেছিল মুম্বই পুলিশ। পর্নোগ্রাফিকাণ্ডের তদন্তে নেমে ‘হটশট’ নামে বিশেষ একটি অ্যাপের সন্ধান পেয়েছিল মুম্বই পুলিশের অপরাধদমন শাখা। ওই অ্যাপ যে সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করত, তার মালিক ছিলেন রাজ। একাধিক সার্ভার থেকে পর্নোগ্রাফি ভিডিয়ো, স্বল্প এবং লম্বা দৈর্ঘ্যের ছবি মিলেছিল। অভিযোগ, মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে এই ধরনের ছবি তৈরি করতেন রাজ। তার পর তা বিক্রি করতেন। বিদেশ পর্যন্ত এই চক্র বিস্তৃত বলেও অভিযোগ উঠেছিল। রাজ অবশ্য প্রথম থেকেই দাবি করেছেন, পর্নোগ্রাফি ভিডিয়ো তৈরির সঙ্গে তিনি কোনও ভাবেই জড়িত নন। এই মামলায় তাঁকে ‘বলির পাঁঠা’ করা হয়েছে। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।
পর্নোগ্রাফির পাশাপাশি বিটকয়েন দুর্নীতিতেও নাম জড়িয়েছে রাজের। চলতি বছরের শুরুর দিকে ইডি রাজ এবং শিল্পার ৯৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল। অভিযোগ, বিটকয়েন দুর্নীতির মাধ্যমে ওই সম্পত্তির মালিকানা পেয়েছেন তাঁরা।