Humsafar Express

হামসফর এক্সপ্রেসে কিশোরীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ, রেলকর্মীকে পিটিয়ে খুন করলেন যাত্রীরা

বিহারের সিওয়ান থেকে একটি পরিবার হামসফর এক্সপ্রেসে উঠেছিল। ওই ট্রেনেই ছিলেন রেলের এক গ্রুপ ডি কর্মী। তাঁরা সকলেই এসি থ্রি টিয়ার কামরায় যাচ্ছিলেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৫৪
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

শ্লীলতাহানির অভিযোগে রেলের এক কর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে। পুলিশ সূত্রে খবর, দিল্লিগামী হামসফর এক্সপ্রেসে ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে।

Advertisement

বিহারের সিওয়ান থেকে একটি পরিবার হামসফর এক্সপ্রেসে উঠেছিল। ওই ট্রেনেই ছিলেন রেলের এক গ্রুপ ডি কর্মী। তাঁরা সকলেই এসি থ্রি টিয়ার কামরায় যাচ্ছিলেন। জানা গিয়েছে, রেলকর্মী কিশোরীকে তাঁর আসনে বসতে বলেন। রাত তখন সাড়ে ১১টা। অভিযোগ, কিশোরীর মা শৌচাগারে গেলে রেলকর্মী কিশোরীর শ্লীলতাহানি করেন।

কিশোরীর মা শৌচাগার থেকে ফিরতেই কিশোরী তার কাছে গিয়ে কাঁদতে শুরু করে। তার পর তাঁকে গোটা ঘটনাটি জানায় সে। মহিলা তখন তাঁর স্বামী, শ্বশুর এবং ট্রেনের কামরায় থাকা যাত্রীদের বিষয়টি জানান। ট্রেন আইশবাগে পৌঁছতেই রেলকর্মীকে ঘিরে ধরেন কিশোরীর পরিবারের সদস্য এবং যাত্রীরা। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। কানপুর সেন্ট্রাল পৌঁছনো পর্যন্ত রেলকর্মীকে মারধর করতে থাকেন যাত্রীরা। তার পর তাঁকে জিআরপির হাতে তুলে দেন তাঁরা। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই রেলকর্মীর মৃত্যু হয়।

রেলকর্মীর পরিবার কিশোরীর পরিবারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেন। কিশোরীর পরিবারও শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন ওই রেলকর্মীর বিরুদ্ধে। রেলকর্মীর কাকা পবন বলেন, “আমার ভাইপোকে ষড়যন্ত্র করে খুন করা হয়েছে। তাঁকে দেড় ঘণ্টা ধরে মারা হল, অথচ রেলসুরক্ষা বাহিনীর কেউ তাঁকে উদ্ধার করল না?” প্রয়াগরাজ জিআরপির পুলিশ সুপার অভিষেক যাদব বলেন, “আইশবাগ স্টেশন ছাড়ার পর কিশোরীর শ্লীলতাহানি করা হয়। অভিযুক্তকে মারধর করেন কিশোরীর পরিবার এবং অন্য যাত্রীরা। কানপুর সেন্ট্রাল স্টেশনে অভিযুক্তকে জিআরপির হাতে তুলে দেওয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর।”

আরও পড়ুন
Advertisement