নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তৃণমূল সাংসদ দেবের। জবাব দিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্টের দিন কতগুলি প্ল্যাটফর্ম টিকিট বিক্রি হয়েছিল? সেই তথ্য এ বার সংসদে প্রকাশ করলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী (দেব) সংসদে এ বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। গত ছ’মাসে নয়াদিল্লি স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম টিকিট বিক্রির হার কেমন ছিল এবং দুর্ঘটনার দিন কতগুলি বিক্রি হয়েছিল, তা জানতে চান দেব। তৃণমূল সাংসদের প্রশ্নের লিখিত জবাবে লোকসভায় অশ্বিনী জানান, গড়ে যে পরিমাণ প্ল্যাটফর্ম টিকিট বিক্রি হয় নয়াদিল্লি স্টেশনে, দুর্ঘটনার দিন তার থেকে কিছুটা বেশি বিক্রি হয়েছিল।
রেলমন্ত্রী জানান, দুর্ঘটনার দিন নয়াদিল্লি স্টেশনে ১১০৯৯টি প্ল্যাটফর্ম টিকিট বিক্রি হয়েছিল, যা অন্য দিনগুলির তুলনায় মাত্র ১১ শতাংশ বেশি। লিখিত জবাবে অশ্বিনী জানান, ওই সংখ্যক প্ল্যাটফর্ম টিকিটধারীর ভিড় বহন করার জন্য পর্যাপ্ত জায়গাও ছিল প্ল্যাটফর্মে। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলা চলাকালীন গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্টের পরিস্থিতি তৈরি হয়। কোন প্ল্যাটফর্মে কোন ট্রেন রয়েছে, তা নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। ভিড়ে ঠাসাঠাসি অবস্থায় হুড়োহুড়ির মধ্যে পদপিষ্ট হয়ে ১৮ জন যাত্রীর মৃত্যু হয় সেই রাতে। তবে বুধবার সংসদে মন্ত্রী জানান, প্ল্যাটফর্ম টিকিট বিক্রি হয়েছিল অন্য দিনগুলির তুলনায় মাত্র ১১ শতাংশ বেশি।
রেল কেন প্ল্যাটফর্ম টিকিট দেয়, সেই কারণও ব্যাখ্যা করেন রেলমন্ত্রী। অশ্বিনী বলেন, “বয়স্ক, মহিলা, অসুস্থ যাত্রী বা অন্য যাত্রীদের প্ল্যাটফর্ম চত্বরে সঙ্গ দেওয়ার জন্য এই প্ল্যাটফর্ম টিকিটগুলি দেওয়া হয়। এই টিকিটগুলি মাত্র দু’ঘণ্টার জন্য বৈধ থাকে। কোনও প্ল্যাটফর্মে কত জনের ভিড় বহন করার ক্ষমতা রয়েছে, তার উপর নির্ভর করে প্ল্যাটফর্ম টিকিট দেওয়া হয়।” তাঁর বক্তব্য, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ৯৯৫৮টি প্ল্যাটফর্ম টিকিট বিক্রি হয়েছিল। ১৫ ফেব্রুয়ারি (দুর্ঘটনার দিন) বিক্রি হয়েছিল ১১০৯৯টি।
ঘটনাচক্রে গত রবিবার রাতেই নয়াদিল্লি স্টেশনে প্রায় পদপিষ্টের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। শিবগঙ্গা এক্সপ্রেস, স্বতন্ত্রতা সেনানি এক্সপ্রেস, জম্মু রাজধানী এক্সপ্রেস, লখনউ মেল এবং মগধ এক্সপ্রেস ছাড়তে দেরি করছিল। এই ট্রেনগুলি ছাড়তে দেরি হওয়ার কারণে প্ল্যাটফর্মগুলিতে বহু যাত্রীর ভিড় হয়ে গিয়েছিল। যদিও দিল্লি পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এই বার।