ছবি: পিটিআই।
রাজ্যসভা এবং লোকসভার অধিবেশন গোটা দিনের জন্য মুলতুবি হয়ে গেল। বুধবার সকাল ১১টায় সংসদের দুই কক্ষেই আবার অধিবেশন শুরু হবে।
প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে সিপিএম সাংসদ এএম আরিফ মণিপুর প্রসঙ্গে বলেন, “এটা ভারতের ইতিহাসে নজিরবিহীন যে, বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছে সুপ্রিম কোর্ট। এবং সেটা করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারকে এড়িয়েই।” এই প্রসঙ্গেই তাঁর সংযোজন, “যদি প্রধানমন্ত্রীর ন্যূনতম লজ্জা থাকত কিংবা এখনও থেকে থাকে, তবে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত।” প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে সিপিএম সাংসদ এএম আরিফ মণিপুর প্রসঙ্গে বলেন, “এটা ভারতের ইতিহাসে নজিরবিহীন যে, বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছে সুপ্রিম কোর্ট। এবং সেটা করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারকে এড়িয়েই।” এই প্রসঙ্গেই তাঁর সংযোজন, “যদি প্রধানমন্ত্রীর ন্যূনতম লজ্জা থাকত কিংবা এখনও থেকে থাকে, তবে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত।”
অনাস্থা-বিতর্কে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রসঙ্গ টানলেন কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি। মঙ্গলবার লোকসভায় তিনি বলেন, ‘‘৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের চার বছর পরও জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচন করা হয়নি।’’ এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেন এনডিএ সাংসদেরা। তাঁদের বক্তব্য, বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। তাই সংসদে এই নিয়ে আলোচনা করা ঠিক নয়।
কংগ্রেস জমানায় দেশে বেশি রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করলেন কিরেন রিজিজু। তিনি বলেন, ‘‘২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশে ১৭১টি রেল দুর্ঘটনা হয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দুর্ঘটনার সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৭১।’’ গত ২ জুন ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানগা বাজার স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হয়েছিল চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। যা নিয়ে মোদী সরকারকে বিঁধেছেন বিরোধীরা। তার পর এই পরিসংখ্যান তুলে কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন রিজিজু।
বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’কে কটাক্ষ করলেন কিরেন রিজিজু। তিনি বলেন, ‘‘‘ইন্ডিয়া’ নাম নিলেও কিছু হবে না। কারণ ভারতের বিরুদ্ধে ওরা কাজ করছে।’’
মণিপুর নিয়ে পূর্বতন ইউপিএ সরকারকেই দুষলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। মঙ্গলবার লোকসভায় অনাস্থা-বিতর্কে তিনি বলেন, ‘‘মণিপুরে হিংসার জন্য দায়ী ইউপিএ জমানা।’’ রিজিজু আরও বলেন, ‘‘উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির জন্য কাজ করে আস্থা অর্জন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।’’ মোদীর প্রশংসা করে রিজিজু আরও বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কারণেই টোকিও অলিম্পিকে সাতটি পদক জিতেতে পেরেছে ভারত।’’
২০২৩ সালে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হতে পারে তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে, ২০১৮ সালেই এমন ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার লোকসভায় এ কথা জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ সুনীতা দুগ্গল। ২০১৮ সালে প্রথম বার মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছিল।
মণিপুর নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ উদ্ধব শিবিরের শিবসেনা সাংসদ অরবিন্দ সাওয়ান্তের। তিনি বলেছেন, ‘‘মণিপুর নিয়ে ৭০ দিন ধরে মৌন ছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ওরা মৌন না থাকলে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হত না।’’
বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবকে সমর্থন জানাল না বিজেডি। মঙ্গলবার লোকসভায় বিজেডি সাংসদ পিনাকী মিশ্র জানান, তাঁর দল কংগ্রেস-বিরোধী। তাই এই প্রস্তাবে তাঁরা সমর্থন জানাবেন না।
লোকসভায় অনাস্থা-বিতর্কে বৃহস্পতিবার বক্তৃতা দিতে পারেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। ওই দিনই জবাবি বক্তৃতা দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
অনাস্থা-আলোচনায় বিজেপিকে আক্রমণ করলেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ ডিম্পল যাদব। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি বিভাজনের রাজনীতি করছে।’’ মণিপুরের আইনশৃঙ্খলার বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি।
VIDEO | "BJP is destroying the administrative and financial federalism. They are destroying the institutions, right from EC, ED, CBI to others. They are using them as tools to harass the people of the country," says Samajwadi Party MP @dimpleyadav during no-confidence motion… pic.twitter.com/VhsDcmXDtZ
— Press Trust of India (@PTI_News) August 8, 2023
অনাস্থা-আলোচনার মধ্যে লোকসভায় হনুমান চালিশা পাঠ করলেন শিবসেনা (শিন্ডে শিবির) সাংসদ শ্রীকান্ত শিন্ডে। বিরোধী জোটকে আক্রমণ করেন তিনি।
বিরোধীদের তরফে অনাস্থা-বিতর্কে বক্তব্য রাখতে শুরু করলেন বারামতীর এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে। তিনি বলেন, ‘‘বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের কথা ভাবলে প্রথমেই মাথায় আসে ‘উদ্ধত’ শব্দটি।’’ কেন্দ্রের সরকারকে কৃষক-বিরোধী বলেও মন্তব্য করেন সুপ্রিয়া। এনসিপি সাংসদ বলেন, ‘‘এই সরকার কৃষক-বিরোধী। আর সেই কারণেই এই সরকারের প্রতি আমাদের আস্থা নেই।’’ মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফার দাবি জানাল এনসিপি।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং সিবিআই নিয়ে আবার সরব হল তৃণমূল। লোকসভায় মঙ্গলবার সৌগত বলেন, ‘‘বিরোধীদের টার্গেট করে ইডি, সিবিআই ব্যবহার করছে বিজেপি।’’ বিজেপির ‘ওয়াশিং মেশিন’ নিয়েও খোঁচা দিয়েছেন সৌগত। মহারাষ্ট্রে বিজেপি সরকারের সঙ্গে এনসিপি নেতা অজিত পওয়ারের হাত মেলানোর প্রসঙ্গ তোলেন তিনি।
মণিপুর জ্বলছে, অথচ প্রধানমন্ত্রী বিদেশে ঘুরছেন— এ ভাবেই প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। লোকসভায় অনাস্থা-বিতর্কে তিনি আরও বলেন, ‘‘টোম্যাটোর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। কর্মসংস্থানে ব্যর্থ সরকার। সংসদে কোনও প্রশ্নের জবাব দেন না তিনি। সংসদীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নন প্রধানমন্ত্রী। প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ তিনি।’’ এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে হট্টগোল শুরু করেন শাসকদলের সাংসদেরা।
লোকসভায় অনাস্থা-বিতর্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, ‘‘দেশকে যাঁরা ভালবাসেন, তাঁরা সকলেই মোদীকে অপছন্দ করেন। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ৮০টি আসনও পায়নি। তাই একশো দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে।দেশে বিজেপি সরকারের হৃদয় নেই। তারা বাংলায় প্রতিনিধি দল পাঠায়। কিন্তু মণিপুরে পাঠায় না।’’ মণিপুর প্রসঙ্গে সৌগত বলেন, ‘‘মণিপুর নিয়ে নিশিকান্ত একটা শব্দও উচ্চারণ করেননি।’’ মণিপুরে ভিডিয়োকাণ্ড প্রসঙ্গে সৌগত বলেন, ‘‘কোনও সভ্য দেশে এমনটা ঘটতে পারে?’’
লোকসভায় অনাস্থা-বিতর্কে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের পর বক্তৃতা শুরু করেছেন ডিএমকে সাংসদ টিআর বালু। তিনি বলেন, ‘‘মণিপুরে সংঘর্ষে ১৬৩ জনের মৃত্যুর পরও নীরব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।’’
লোকসভায় অনাস্থা-আলোচনায় কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে আক্রমণ করলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তিনি বলেন, ‘‘সনিয়া আদর্শ ভারতীয় নারীর মতো। নিজের ছেলে-জামাইকে আগলে রাখছেন।’’ নিশিকান্তের বক্তৃতার সময় হট্টগোল বিরোধীদের।
মোদী-পদবি নিয়ে মানহানির মামলায় সুরাতের আদালতের রায়ে দু’বছরের সাজা হওয়ায় জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে সাংসদ পদ হারান রাহুল। কিন্তু গত সপ্তাহে ওই রায়ে সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দেওয়ায় তাঁর সাংসদ পদ ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন স্পিকার ওম বিড়লা। তার পরেই সোমবার সংসদে যান রাহুল। এই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার অনাস্থা-আলোচনায় বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট কোনও রায় দেয়নি। স্থগিতাদেশ দিয়েছে...উনি (রাহুল) বলছেন ক্ষমা চাইবেন না...বলছেন ‘আমি সাভারকর নই’...আপনি কখনওই সাভারকর হতে পারবেন না।’’
অনাস্থা-আলোচনায় বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’কে কটাক্ষ করলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তিনি বলেন, ‘‘ইন্ডিয়া’র যত জন সাংসদ রয়েছেন, তাঁদের জিজ্ঞাসা করুন, তাঁদের মধ্যে মাত্র কয়েক জনই এর পুরো নাম বলতে পারবেন। এটা কোনও অনাস্থা ভোট নয়। এটা আসলে বিরোধীদের আস্থা পরীক্ষার ভোট। বিরোধীরা আসলে দেখতে চান, কে কে তাঁদের সমর্থন করছেন। বিরোধীরা নিজেদের মধ্যেই লড়াই করছেন।’’