Consumer court

আল্টাসোনোগ্রাফিতেও ধরা পড়েনি ভ্রূণের প্রতিবন্ধকতা, শিশুকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ

গত বছরের সেপ্টেম্বরে এক শিশুর জন্ম দিয়েছিলেন বন্দনা দাস। জন্মের সময় দেখা যায়, বাচ্চাটির বাঁ পা এবং ডান কব্জি নেই।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
ভুবনেশ্বর শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২২ ২০:১৫
আল্ট্রাসোনোগ্রাফিতে গর্ভস্থ ভ্রূণের শারীরিক অক্ষমতা ধরতে পারেননি নার্সিংহোমের চিকিৎসকরা।

আল্ট্রাসোনোগ্রাফিতে গর্ভস্থ ভ্রূণের শারীরিক অক্ষমতা ধরতে পারেননি নার্সিংহোমের চিকিৎসকরা। — ফাইল ছবি।

প্রসূতির তিন বার আল্ট্রাসোনোগ্রাফি পরীক্ষা হয়েছিল। তার পরেও গর্ভস্থ ভ্রূণের শারীরিক অক্ষমতা ধরতে পারেননি নার্সিংহোমের চিকিৎসকরা। সে কারণে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল ক্রেতা সুরক্ষা আদালত। ওড়িশার জগৎসিংহপুরের ঘটনা।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে এক শিশুর জন্ম দিয়েছিলেন বন্দনা দাস। জন্মের সময় দেখা যায়, বাচ্চাটির বাঁ পা এবং ডান কব্জি নেই। এর পরেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে পরিবার। জগৎসিংহপুর জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন বন্দনা ও তাঁর স্বামী মনোরঞ্জন চুলি। ১৮ অক্টোবর আদালত নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছে, ওই নার্সিংহোমের গাফিলতির ফলেই বিপাকে পড়েছে অভিযোগকারী পরিবার। ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্দনার তিন বার আল্ট্রাসোনোগ্রাফি হয়েছিল। রিপোর্টে ভ্রূণের শারীরিক অক্ষমতা নিয়ে কিছুই জানাননি চিকিৎসক। প্রসঙ্গত, ওই নার্সিংহোমের মালিক হলেন এক রেডিওলজিস্ট এবং তাঁর স্ত্রী।

Advertisement

রায়ে বলা হয়েছে, ভ্রূণের শারীরিক অক্ষমতা রয়েছে আগে জানতে পারলে মহিলা গর্ভপাত করাতে পারতেন। নার্সিংহোম এবং তাদের রিপোর্টে ভরসা করে মহিলা গর্ভপাত করাননি এবং শেষ পর্যন্ত শারীরিক ভাবে অক্ষম ছেলের জন্ম দিয়েছেন। তিন বার প্রসূতির আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করানোর পরেও বিষয়টি ধরতে পারেননি চিকিৎসক। ভুল রিপোর্ট দেওয়া গাফিলতির শামিল।

শিশুটির নামে ব্যাঙ্কে ১০ লক্ষ টাকা নার্সিং হোমকে জমা করতে বলেছে জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালত। শিশুটির মাকে ৫০ হাজার টাকা এবং মামলার খরচ বাবদ চার হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে তারা। ৪৫ দিনের মধ্যে দিতে হবে সেই টাকা।

আরও পড়ুন
Advertisement