ড্রোনের জন্য রাডারে তৈরি হচ্ছে কিছু সমস্যাও। প্রতীকী ছবি।
আকাশে সতর্ক নজরদারি, জমিতেও। সীমান্তের এ পারে দুষ্কর্ম করতে তাই অনেক সময় পাতালে প্রবেশ করে পাকিস্তানি জঙ্গিরা। পাক-জমিনের মাটি ফুঁড়ে তাদের তৈরি সুড়ঙ্গ পৌঁছয় সোজা ভারতের মাটিতে। তার পর সেই পথ বেয়ে একে একে আসে মাদক, সশস্ত্র জঙ্গিরাও। তবে এই কৌশলে এ বার জল ঢালতে চলেছে ভারতের সীমান্তরক্ষীবাহিনী বিএসএফ। সেনা সূত্রে খবর আকাশ এবং জমির পাশাপাশি এ বার সীমান্ত সংলগ্ন পাতালেও নজরদারি চালাবে তারা। ফলে মাটির নীচে সুড়ঙ্গ তৈরি করে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করলেই তা ধরা পড়বে বিএসএফের চোখে।
অত্যাধুনিক রাডার প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই নজরদারি চালাবে সীমান্তরক্ষীবাহিনী। আর রাডার থাকবে ড্রোনের পিঠে। সীমান্তবর্তী এলাকায় সেই ড্রোন উড়িয়ে সীমান্তের মাটির নীচের খবরাখবরও অনায়াসে সংগ্রহ করবে বিএসএফ। ভারতের মৌলিক প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে এই বিশেষ রাডার। নিরাপত্তার স্বার্থে এ ব্যাপারে বিশদ তথ্য না দিলেও বিএসএফের এক কর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, এর আগে কখনও সীমান্তে এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করেনি বিএসএফ। একটি ভারতীয় সংস্থা এই রাডার সরবরাহ করেছে বিএসএফকে। জোরালো বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করে ওই রাডার মাটির তলায় থাকা সুড়ঙ্গের অস্তিত্ব এবং তার বিস্তৃতি বুঝতে সাহায্য করবে।
প্রসঙ্গত, গত তিন বছরে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায়, মূলত জম্মুতে ৫টি সুড়ঙ্গের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে দু’টি তৈরি করা হয়েছিল ২০২০ সালে। দু’টি ২০২১-এ এবং ২০২২ সালে তৈরি করা হয় আরও একটি। যার মোট বিস্তৃতি প্রায় ১৯২ কিলোমিটার। সেনাবাহিনীর তরফে তাই সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়াতে সুড়ঙ্গ খুঁজে বের করার অভিযান শুরু করেছে সেনা। তবে নতুন প্রযুক্তির বেশ কিছু সমস্যাও রয়েছে, বিএসএফ সূত্রে খবর, যে হেতু এই রাডার ড্রোনে করে ওড়ানো হবে, তাতে এটির বেতার তরঙ্গ তৈরি করতে সমস্যা হতে পারে। কারণ, ড্রোন ওড়ার সময় যে ধুলো তৈরি হয়, তাতে ওই তরঙ্গ তৈরিতে বাধা পড়তে পারে। তবে বিএসএফ আশাবাদী, এই সমস্যা দ্রুত কাটিয়ে ওঠার সমাধানও হাতে পাবে তারা। তার আগে পর্যন্ত যিনি ওই রাডার নিয়ন্ত্রণ করবেন, তাঁর বিবেচনার উপরেও ভরসা করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই।