Ministry of Foreign Affairs

বিদেশ মন্ত্রকে বাজেট বরাদ্দ কম কেন, প্রশ্ন

বিশেষ কূটনৈতিক দৌত্যের জন্য খরচ, বিভিন্ন দেশে ভারতীয় দূতাবাসগুলির বরাদ্দ, আমলাদের বিদেশযাত্রার জন্য বরাদ্দে টান পড়েছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৪ ০৭:২১
বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। —ফাইল চিত্র।

ক্ষমতায় আসার পর থেকেই গত দশ বছর বিদেশনীতিকে নিজের ভাবমূর্তির সঙ্গে মিশিয়ে দেখাতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কখনও প্রচারযন্ত্র তাঁর সরকারকে ‘বিশ্বগুরু’ বলেছে তো কখনও ‘বিশ্বমিত্র’ বলেছে। জি২০-র রাজকীয় আয়োজনেই মোদী সরকার প্রমাণ করে দিয়েছে, আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের আকাঙ্ক্ষা এবং অবস্থানকে ছোট করে দেখা যাবে না। কিন্তু বিদেশ মন্ত্রকের জন্য বাজেটে বরাদ্দ এ বারে যৎসামান্য। মোট বাজেটের ১ শতাংশেরও কম। প্রসঙ্গত, শীর্ষতম স্তরে বিদেশ সফরের বিষয়টি আগের তুলনায় বাড়লেও মন্ত্রকের সামগ্রিক বরাদ্দের সূচক গত কয়েক বছর ধরে কমতির দিকেই।

Advertisement

বিশেষ কূটনৈতিক দৌত্যের জন্য খরচ, বিভিন্ন দেশে ভারতীয় দূতাবাসগুলির বরাদ্দ, আমলাদের বিদেশযাত্রার জন্য বরাদ্দে টান পড়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের বাজেটের একটা বড় অংশ দেওয়া হয়েছে অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের ব্যয় খাতে। মন্ত্রকের ‘এস্ট্যাবলিশমেন্ট এক্সপেন্ডিচার’ কমানো হয়েছে ৬৯৪৫ কোটি টাকা থেকে ৬৪৪১ কোটিতে। এই খাতে বিভিন্ন দেশে ভারতের দূতাবাস, বিভিন্ন সচিবালয়, পাসপোর্ট এবং অভিভাষণ অফিস, পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি, আন্তর্জাতিক সম্মেলন, উদ্ধার কার্য, বিদেশি অতিথিদের আপ্যায়নের খরচ ধরা হয়। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিদেশের মাটিতে ভারতের উপস্থিতি সচল রাখতে এই সব ক্ষেত্রে যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, তা যথেষ্ট নয়।

বাইরের দেশে ভারতীয় সহায়তা প্রকল্প, আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, সাংস্কৃতিক সহায়তার জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৫৬৬৮ কোটি টাকা। উল্লেখযোগ্য ভাবে এই অর্থের অর্ধেকেরও বেশি রাখা হয়েছে প্রতিবেশী বলয়ের জন্য। চিনের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং সেশেলস-কে আর্থিক সহায়তার পরিমাণ এ বছর বাড়ানো হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট করা অর্থের পুরোটা কাজে লাগাতে না পারা, বিদেশের মাটিতে ভারতীয় প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে মন্থর গতি, অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কর্মী নিয়োগ না করার মতো বিষয়গুলি গত কয়েক বছর ধরেই প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে বাজেট বরাদ্দের পুরোটা ব্যবহার করতে না পারার ক্ষেত্রে। বিদেশ মন্ত্রকের মোট কর্মী সংখ্যা সাড়ে চার হাজার (যার মধ্যে ১ হাজার জন আইএফএস) জন। কূটনৈতিক মহলের বক্তব্য, ভারতের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্রকেরও সংস্কারের প্রয়োজন তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement