Sexual Harassment

ঘরে ডেকে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে হেনস্থা, কোমর ধরে টান! শিক্ষকের বিরুদ্ধে এফআইআর পঞ্জাবে

সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ইংরেজি শিক্ষকের বিরুদ্ধে। স্কুলের মধ্যেই একটি ঘরে তিনি ছাত্রীকে ডেকে নেন। তাকে কলা খেতে দেন বলেও অভিযোগ। শিক্ষককে খুঁজছে পুলিশ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:১১
পঞ্জাবের স্কুলে ছাত্রীকে হেনস্থার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

পঞ্জাবের স্কুলে ছাত্রীকে হেনস্থার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। —প্রতীকী চিত্র।

সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ইংরেজি শিক্ষকের বিরুদ্ধে। স্কুলের মধ্যেই একটি ঘরে তিনি ছাত্রীকে ডেকে নেন। তাকে কলা খেতে দেন বলেও অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তার পর ছাত্রীর কোমর ধরে টানেন নিজের দিকে। ছাত্রীর গায়ে হাত দেওয়ার অভিযোগে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

Advertisement

পঞ্জাবের হোশিয়ারপুরের ঘটনা। বুধবার সেখানকার পুলিশ জানিয়েছে, ১২ বছরের ছাত্রীকে হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে স্কুলের ইংরেজি শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ওই ছাত্রীকে তিনি অশালীন ভাবে স্পর্শ করেন বলে অভিযোগ। কিন্তু শিক্ষক এখন পলাতক। তাঁকে খুঁজছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষক সাধারণ শ্রেণিকক্ষে ক্লাস নিতেন না। স্কুলের শিল্পকলা এবং কারুশিল্পের জন্য নির্ধারিত ঘরে তিনি ক্লাস নিতেন। এ ক্ষেত্রেও ছাত্রীকে সেখানেই ডেকে নিয়েছিলেন তিনি। স্কুলে যখন টিফিনের বিরতি চলছিল, সেই সময়ে ছাত্রীকে ঘরে ডেকেছিলেন। ওই ছাত্রী জানিয়েছে, তাকে কলা খেতে দেওয়া হয়েছিল। তার পর শিক্ষক তার উদ্দেশে আপত্তিকর ইঙ্গিত করেন। এর পরেই তার গায়ে হাত দেন বলে অভিযোগ। টান মারেন ছাত্রীর কোমর ধরে। ঘর থেকে ছুটে বেরিয়ে যায় কিশোরী।

প্রথমে ঘটনার কথা অঙ্কের শিক্ষককে জানিয়েছিল ছাত্রী। তার পর বাড়ি ফিরে বাবা-মাকেও জানায়। তাঁরা স্থানীয় থানায় গিয়ে ইংরেজি শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইনে মামলা রুজু করে পুলিশ। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারাতেও মামলা রুজু করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। কিন্তু অভিযুক্ত পলাতক। এখনও তাঁকে গ্রেফতার করা যায়নি। হোশিয়ারপুর থানার সাব-ইনস্পেক্টর রমনদীপ কউর জানিয়েছেন, অভিযুক্তের সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। দ্রুত তাঁকে খুঁজে বার করা যাবে বলে তদন্তকারীরা আশাবাদী।

আরও পড়ুন
Advertisement