Paper Leak Case

প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ, স্কুলের প্রিন্সিপালকে চেয়ার থেকে তুলে বারই করে দিলেন সহকর্মীরা! প্রকাশ্যে ভিডিয়ো

অভিযোগ, প্রিন্সিপালের ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। চেয়ার থেকে টেনে তোলারও চেষ্টা করা হয়। তিনি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি চলে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৪ ১৪:৫৭
প্রিন্সিপালকে জোর করে চেয়ার থেকে তুলে দেওয়ার চেষ্টা। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

প্রিন্সিপালকে জোর করে চেয়ার থেকে তুলে দেওয়ার চেষ্টা। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

স্কুলে নিজের ঘরেই বসেছিলেন প্রিন্সিপাল। আচমকাই স্কুলের কয়েক জন শিক্ষক-শিক্ষিকা তাঁর ঘরে এসে ঢোকেন। ঘরে ঢুকেই হুমকি দেওয়া শুরু করেন তাঁরা। তার পরই তাঁকে চেয়ার ছেড়ে উঠে যেতে বলা হয়। কিন্তু প্রিন্সিপাল প্রতিবাদ করতেই প্রায় মারমুখী হয়ে ওঠেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। অভিযোগ, প্রিন্সিপালের ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। চেয়ার থেকে টেনে তোলারও চেষ্টা করা হয়। তিনি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি চলে। শেষমেশ প্রিন্সিপালের হাত ধরে চেয়ার থেকে টেনে তুলে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

শুধু তা-ই নয়, তার পর প্রিন্সিপালের সেই চেয়ারে নবনিযুক্ত প্রিন্সিপালকে বসিয়ে হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানানো হয়। স্কুলের শীর্ষ আধিকারিকদের সামনেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, প্রিন্সিপালকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের।

একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ঘটনা। জানা গিয়েছে, ওই প্রিন্সিপালের নাম পারুল সলোমন। উত্তরপ্রদেশ পিএসসি-র রিভিউ অফিসার (আরও) এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট রিভিউ অফিসার (এআরও) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় বসন্ত যশবন্ত নামে ওই স্কুলেরই এক কর্মী গ্রেফতার হন। তিনি গ্রেফতার হতেই প্রিন্সিপাল পারুলের এই ঘটনায় জড়িয়ে থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পরই সহকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তার পরই স্কুল কর্তৃপক্ষের রোষে পড়েন প্রিন্সিপাল।

স্কুলের শীর্ষ আধিকারিক মরিস এডগার ড্যান জানিয়েছেন, গত ১১ ফেব্রুয়ারি আরও এবং এআরও-র পরীক্ষা হয়। সেই পরীক্ষায় কোটি কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়েছে। স্কুলেরই এক কর্মী এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন। তার পরই প্রিন্সিপালের নাম প্রকাশ্যে আসে। ওই কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে থাকার জন্য প্রিন্সিপালকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, শার্লি ম্যাসিকে নতুন প্রিন্সিপাল হিসাবে নিয়োগ করতেই প্রিন্সিপাল পারুল নিজেকে তাঁর অফিসঘরে বন্দি করে রাখেন। দরজা না খোলায় ভেঙে ভিতরে ঢোকেন সহকর্মীরা। তার পর প্রিন্সিপাল পারুলকে চেয়ার থেকে টেনে তুলে স্কুল থেকে বার করে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছেন প্রিন্সিপাল পারুল। যদিও এডগার ড্যানের দাবি, গোটা ঘটনার ভিডিয়ো করা হয়েছে। প্রিন্সিপাল পারুলের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement