Bihar Govt School

মত্ত অবস্থায় ঢুকে অভব্য আচরণ প্রিন্সিপাল, শিক্ষকের! বিহারের সরকারি স্কুলের ঘটনায় হুলস্থুল, ধৃত দু’জনই

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রিন্সিপাল এবং শিক্ষক— দু’জনেই মত্ত অবস্থায় স্কুলে ঢুকেছিলেন। কেন তাঁরা এই অবস্থায় এসেছেন, তা জিজ্ঞাসা করায় গ্রামবাসীদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করা হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৪ ১১:৪৯
বিহারের স্কুলের প্রিন্সিপাল (বাঁ দিকে) এবং শিক্ষককে (ডান দিকে)  ধরে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত।

বিহারের স্কুলের প্রিন্সিপাল (বাঁ দিকে) এবং শিক্ষককে (ডান দিকে) ধরে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত।

টলতে টলতে স্কুলে ঢুকলেন প্রিন্সিপাল এবং এক শিক্ষক। হাঁটতে গিয়ে বার কয়েক হোঁচটও খেলেন দু’জন। শিক্ষক আবার পড়েও যান। স্কুলের প্রিন্সিপাল এবং শিক্ষকের এমন অদ্ভুত আচরণে থতমত খেয়ে গিয়েছিল পড়ুয়ারা। বেশ কয়েক জন গ্রামবাসীও বিষয়টি লক্ষ করেন। তাঁদের সন্দেহ হওয়ায় প্রিন্সিপাল এবং শিক্ষককে ঘিরে ধরেন।

Advertisement

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রিন্সিপাল এবং শিক্ষক দু’জনেই মত্ত অবস্থায় স্কুলে ঢুকেছিলেন। কেন তাঁরা এই অবস্থায় এসেছেন, তা জিজ্ঞাসা করতে গ্রামবাসীদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করা হয় বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে হুলস্থুল পড়ে যায়। গ্রামবাসীরা তার পর প্রিন্সিপাল এবং শিক্ষককে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দু’জনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।

ঘটনাটি বিহারের এক সরকারি স্কুলের। গুলনি গ্রামের ওই সরকারি স্কুলে প্রিন্সিপাল এবং এক শিক্ষকরে বিরুদ্ধে মত্ত অবস্থায় স্কুলে ঢুকে অভব্য আচরণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত প্রিন্সিপালের নাম নগেন্দ্র প্রসাদ এবং শিক্ষক সুবোধ কুমার। প্রশাসন সূত্রে খবর, এই ঘটনার কথা জেলা শিক্ষা দফতরে পৌঁছতেই দু’জনকেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রিন্সিপাল এবং শিক্ষক— দু’জনেই মত্ত অবস্থায় ছিলেন।

আরও পড়ুন
Advertisement