iphone

আইফোন সরবরাহের ট্রাকে হামলা! লোপাট ১৬০০ ফোন, অভিযোগ পেয়েও ১৫ দিন পরে ‘ঘুম ভাঙল’ পুলিশের

পুলিশকে ওই ট্রাকের চালক জানিয়েছেন, ওই নিরাপত্তা রক্ষী লখনাদোনে তাঁর এক পরিচিত যুবকের সঙ্গে আলাপ করান। এ-ও বলেন যে, ওই যুবক তাঁর সঙ্গে একই নিরাপত্তা সংস্থায় কাজ করেন। সেখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:০৩

— প্রতীকী চিত্র।

আইফোনের অর্ডার সরবরাহ করতে আসা একটি ট্রাক থেকে ১৬০০ আইফোন লুঠ করে পালাল দুষ্কৃতীরা। আর ঘটনাটির অভিযোগ পেয়েও ১৫ দিন কোনও পদক্ষেপ তো দূর অস্ত্‌, এফআইআর-ই দায়ের করল না পুলিশ!

Advertisement

হায়দরবাদ থেকে ফোনের বরাত নিয়ে ওই ট্রাকটি রওনা হয়েছিল উত্তর ভারতের উদ্দেশে। আর ঘটনাটি ঘটে ১৪ অগস্ট রাতে। আইফোন বোঝাই ওই ট্রাকে চালক ছাড়া ছিলেন এক জন নিরাপত্তারক্ষী। ১৪ অগস্ট রাতে মধ্যপ্রদেশের লখনাদোন শহরের একটি হাইওয়ের ধারে তাঁরা ট্রাকটি দাঁড় করান রাতের খাবার খেয়ে কিছুটা জিরিয়ে নেওয়ার জন্য। সেখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত।

পুলিশকে ওই ট্রাকের চালক জানিয়েছেন, ওই নিরাপত্তা রক্ষী লখনাদোনে তাঁর এক পরিচিত যুবকের সঙ্গে আলাপ করান। এ-ও বলেন যে, ওই যুবক তাঁর সঙ্গে একই নিরাপত্তা সংস্থায় কাজ করেন। পরে তিন জনে একসঙ্গে খেতে যান। এর পরের স্মৃতি আর ওই ট্রাকচালকের মনে নেই। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘পরের দিন সকালে ট্রাকের ভিতরেই আমার ঘুম ভাঙে হাত-পা বাঁধা অবস্থায়।’’ কোনও রকমে সেই বাঁধন খুলে বাইরে বেরিয়ে দেখেন, ট্রাকের পিছনের দরজা খোলা। মোবাইল ফোনও উধাও। দ্রুত বিষয়টি জানাতে স্থানীয় ভান্ডারি থানায় পৌঁছন ওই ট্রাক চালক। কিন্তু পুলিশ সেই অভিযোগ পেয়েও কোনও পদক্ষেপ করেনি। এমনকি, এফআইআরও দায়ের করেনি।

ঘটনাটির কথা মুখে মুখেই ছড়িয়ে পড়ে। মধ্য প্রদেশের সাগর জেলার ইনস্পেক্টর জেনারেল প্রমোদ ভার্মার কানেও পৌঁছয়। তিনিই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিষয়টি দেখেন এবং ওই বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের করান। গত ৩১ অগস্ট ওই ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়। তার পরে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পুলিশকর্তা প্রমোদ জানিয়েছেন, মামলাটির তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দোষীদের খোঁজে তল্লাশিও চলছে। যে পুলিশ কর্মী অভিযোগ পেয়েও এফআইআর দায়ের করেননি, তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement