সাপ দিয়ে থানা বাঁচানোর চেষ্টা।
জঙ্গললাগোয়া থানা। ফলে প্রতি দিনই খাবারের খোঁজে সেখানে হানা দেয় হনুমানের দল। প্রথম প্রথম বিষয়টি নিয়ে এতটা গুরুত্ব না দিলেও, ক্রমেই হনুমানের অত্যাচার মাত্রা ছাড়িয়ে যেতে শুরু করে। যখন-তখন থানাতে ঢুকে পড়তে শুরু করে। শুধু তাই-ই নয়, থানার কিছু কিছু জিনিসও নিয়ে পালাচ্ছে বলে দাবি পুলিশকর্মীদের।
কী ভাবে হনুমানদের অত্যাচার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেন পুলিশকর্মীরা। তখনই তাঁদের মাথায় আসে সাপের বিষয়টি। না, এ ক্ষেত্রে আসল সাপ ব্যবহার করেননি পুলিশকর্মীরা। তাঁরা রংবেরঙের প্লাস্টিকের সাপ কিনে নিয়ে আসেন। সেই সাপগুলিকে থানা চত্বরের বাইরে থেকে থানার ভিতর পর্যন্ত খুঁটিতে আটকে দেওয়া হয়। এবং আশ্চর্যজনক ভাবে হনুমানের দাপাদাপি বন্ধ হয়ে যায় বলে দাবি করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক।
ঘটনাটি কেরলের ইদ্দুকি জেলার কুমবামমেট্টু থানার। সাব-ইনস্পেক্টর পি কে লালভাই বলেন, “সাপগুলি থানার চারপাশে আটকে দেওয়া আশ্চর্যজনক ভাবে হনুমানের দল কাছেপিঠে ঘেঁষছে না।”
থানারই অন্য এক কর্মী সুনিশ বলেন, “হনুমানরা দলে দলে আসত। থানার বাগান নষ্ট করে দিত। পাশেরই একটি গ্রামের এক দারুচিনি চাষি জানান, ক্ষেত থেকে হনুমান তাড়াতে তিনি প্লাস্টিকের সাপ ব্যবহার করেন। তাঁর সেই পরিকল্পনাকেই কাজে লাগানোর চেষ্টা করতেই তা সফল হয়।”