Dehradun Rape Case

দেহরাদূনে দক্ষিণ আফ্রিকার ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত সহপাঠীও ভিন্‌দেশের নাগরিক

প্রথমে দিল্লির এক থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন নির্যাতিতা। দক্ষিণ আফ্রিকার ওই তরুণী দেহরাদূনের একটি কলেজে পড়াশোনা করছেন। কলেজের কাছেই একটি হস্টেলে থাকতেন তিনি। অভিযুক্ত তরুণও তাঁর পূর্বপরিচিত।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:১২
এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে।

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

উত্তরাখণ্ডের দেহরাদূনে এক কলেজে বিদেশি ছাত্রীকে ধর্ষণ অভিযোগ উঠেছে নির্যাতিতারই এক সহপাঠীর বিরুদ্ধে। নির্যাতিতা তরুণী দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক। অভিযুক্ত পড়ুয়াও দক্ষিণ সুদানের নাগরিক। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছিল কয়েক দিন আগেই। রবিবার তা প্রকাশ্যে আসে। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে দেহরাদূনের স্থানীয় থানার পুলিশ।

Advertisement

দক্ষিণ আফ্রিকার ওই তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত তরুণ তাঁর পূর্বপরিচিত। কলেজের কাছেই একটি হস্টেলে থাকতেন তরুণী। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার নাম করে তরুণীকে একটি জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত। সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার পর দেহরাদূন থেকে দিল্লিতে চলে গিয়েছিলেন তরুণী। দিল্লির কাশ্মীরি গেট থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা।

অন্য থানা এলাকার ঘটনা হলে পুলিশ এ ক্ষেত্রে ‘জ়িরো এফআইআর’ (দেশের অন্য যে কোনও থানায় স্থানান্তরযোগ্য) দায়ের করে। নির্যাতিতার দাবি ওই অনুষ্ঠানের শেষে তিনি সেখানেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ওই সুযোগে অভিযুক্ত তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার অভিযোগ গ্রহণের পর দিল্লিতেই তাঁর মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয় এবং পুলিশ মামলাটি দেহরাদূনের নির্দিষ্ট থানায় পাঠানোর ব্যবস্থা করে। নির্যাতিতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রাথমিক অনুসন্ধানও শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত তরুণের খোঁজ চালানো হচ্ছে।

দেহরাদূনের স্থানীয় থানার ওসি পঙ্কজ ধাড়িওয়াল জানিয়েছেন, শনিবার দিল্লি থেকে এফআইআরটি দেহরাদূন পুলিশের কাছে পৌঁছেছে। তার ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪(১) ধারায় ধর্ষণের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন
Advertisement