পঞ্জাব পুলিশ। —ফাইল চিত্র।
পঞ্জাবের অমৃতসরের কাছে একটি মন্দিরে হামলার অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার বেশি রাতের দিকে মোটর সাইকেলে চেপে দুই অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতী মন্দিরের সামনে পৌঁছন। অভিযোগ, মন্দির লক্ষ্য করে বোমা ছুড়ে পালিয়ে যান তাঁরা। ঘটনার তদন্তে পাকিস্তান-যোগের সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্মীরা।
এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, রাত ১২টা ৩৫মিনিট নাগাদ হামলাটি হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বিস্ফোরণে কোনও হতাহতের ঘটনা না-ঘটলেও মন্দিরের দেওয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এলাকাবাসীদের মধ্যে আতঙ্কও ছড়িয়ে পড়েছে। কী ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার হয়েছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। অমৃতসরের পুলিশ কমিশনার গুরপ্রীত ভুল্লার জানিয়েছেন, কোন বিস্ফোরক ব্যবহার হয়েছিল, তা যাচাই করে দেখতে হবে। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের খবর দেওয়া হয়েছে। তবে সংবাদ সংস্থা এএনআই অনুসারে, পঞ্জাবের মন্ত্রী কুলদীপ সিংহ ধালিওয়াল দাবি করেছেন, গ্রেনেড ছোড়া হয়েছিল গত রাতের ওই ঘটনায়।
অমৃতসরের ওই ঘটনায় পাকিস্তানের কোনও মদত রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এএনআইকে পুলিশ কমিশনার ভুল্লার বলেছেন, “পাকিস্তানের আইএসআই আমাদের তরুণদের পঞ্জাবে গোলমাল পাকাতে টোপ দিচ্ছে।” সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’র প্রতিবেদনে তিনি বলেছেন, “পাকিস্তান মাঝে মাঝেই এই ধরনের কাজকর্ম করে থাকে।” পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানও এই ঘটনার পরে বলেছেন, “পাকিস্তান নিয়মিত ভাবে ড্রোন পাঠাচ্ছে, তাই এই ধরনের কাজ হয়েই চলেছে।” তবে শুক্রবার রাতের ওই হামলার নেপথ্যেও পাকিস্তানি যোগ রয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট ভাবে জানাননি তদন্তকারীরা।
ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে তদন্ত চালাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। ওই ফুটেজে দুই তরুণকে দেখা গিয়েছে। তাঁরা একটি মোটর সাইকেলে চেপে মন্দিরের সামনে পৌঁছন। তাঁদের সঙ্গে একটি পতাকা ছিল। মন্দিরের সামনে কিছু ক্ষণের জন্য থামেন ওই দুই তরুণ। তার পরে মন্দিরের দিকে একটি জিনিস ছুড়ে মারেন এবং পর ক্ষণে বিস্ফোরণ হয়। এর পরে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান দুই অভিযুক্ত।