Crime Against Women

মহিলা রেসিডেন্ট ডাক্তারকে নিগ্রহের অভিযোগ পঞ্জাবে, সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসের মধ্যেই হেনস্থা! তদন্তে পুলিশ

সরকারি মেডিক্যাল কলেজের ক্যাম্পাসে এক মহিলা রেসিডেন্ট ডাক্তারকে হেনস্থার অভিযোগ। অমৃতসরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:৪৯

—প্রতীকী চিত্র।

আর জি কর-কাণ্ডের পর থেকে হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর দাবি উঠছে। এর মধ্যেই ফের সরকারি মেডিক্যাল কলেজের ক্যাম্পাসে এক মহিলা রেসিডেন্ট চিকিৎসককে হেনস্থার অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্জাবের গুরু নানক দেব হাসপাতাল সংলগ্ন অঞ্চলে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ে প্রকাশ, ওই মহিলা রেসিডেন্ট ডাক্তার কাজ শেষ করে হাসপাতাল সংলগ্ন হস্টেলে ফিরছিলেন। অভিযোগ, সেই সময়েই অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি তাঁকে হেনস্থা করেন।

Advertisement

বুধবার পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল সোমবার সন্ধ্যায়। মহিলার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই স্থানীয় থানা তদন্ত শুরু করেছে। মহিলা চিকিৎসক জানিয়েছেন, হস্টেলে ফেরার সময়ে মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসেই বাইকে চেপে এস এক ব্যক্তি তাঁর পথ আটকান। দিল্লির বাসিন্দা ওই চিকিৎসকের অভিযোগ, ওই ব্যক্তি তাঁকে স্পর্শ করেন এবং টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেন। মহিলা চিৎকার করলে অভিযুক্ত সেখান থেকে পালিয়ে যান। এই ঘটনা প্রসঙ্গে অমৃতসরের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার মনিন্দরপাল সিংহ জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, আরজি কর-কাণ্ডের পর দেশ জুড়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। উঠেছে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবি। এর মধ্যেও কখনও মুম্বই, কখনও জম্মুতে চিকিৎসকদের নিগ্রহের অভিযোগ উঠে এসেছে। সুপ্রিম কোর্ট আরজি কর মামলায় কেন স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেছে, সেই কারণ জানাতে গিয়েও প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ জানিয়েছিল, এটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। দেশের আরও কোথায় কোথায় সাম্প্রতিক অতীতে হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে, সে কথাও শুনিয়েছিল শীর্ষ আদালত। এই আবহে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সে বিষয়ে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের থেকে বুধবার রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্র। প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে চিঠি পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব অপূর্ব চন্দ্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement