Merchant Navy Officer Murder

ঘরে রাখা কালো বিড়াল, রহস্যময় নানা আঁকিবুকি দেওয়ালে! ‘তন্ত্রসাধনা’ করতেন সাহিল? কী বলছে পুলিশ

প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, ওই ঘরটিই ছিল সাহিলের দুনিয়া। দিনরাত নেশা করতেন। কখনও বাড়ি ফিরতেন, কখনও ফিরতেন না। সাহিলের সেই ঘর এখন রহস্যের নতুন ঠিকানা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫ ১৬:০৩
সাহিলের ঘরে অদ্ভুত আঁকিবুকি কেন, তদন্তে পুলিশ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম

সাহিলের ঘরে অদ্ভুত আঁকিবুকি কেন, তদন্তে পুলিশ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম

ঘরে ঢোকার মুহূর্তেই দেওয়ালে কালো রঙে আঁকা ‘কালভৈরবের’ একটি বড় ছবি। তার পর একটু এগোতেই দেখা যায় দোতলায় সিঁড়ি উঠে গিয়েছে। সেই সিঁড়ি বেয়ে উঠতেই ছাদের এক কোনায় ছোট একটি ঘর। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, ওই ঘরটিই ছিল সাহিলের দুনিয়া। দিনরাত নেশা করতেন। কখনও বাড়ি ফিরতেন, কখনও ফিরতেন না। সাহিলের সেই ঘর এখন রহস্যের নতুন ঠিকানা। আরও রহস্যময় করে তুলেছে ঘরের ভিতরে দেওয়ালে আঁকা নানা রকম রহস্যময় আঁকিবুকি।

Advertisement

পুলিশের দাবি, যাঁরা ‘তন্ত্রসাধনা’র সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের কাছে এই ধরনের রহস্যময় আঁকিবুকি দেখা যায়। তা ছাড়া পুলিশ জানতে পেরেছে যে, সাহিল নানা রকম কুসংস্কারে বিশ্বাস করতেন। ‘আত্মা’য় বিশ্বাস করতেন। মায়ের মৃত্যুর পর থেকে মাদক এবং মদের নেশা চরম মাত্রায় পৌঁছোয়। প্রতিবেশীদের দাবি, মায়ের ‘আত্মা’র সঙ্গে নাকি সাহিল কথা বলতেন। এমনই বিশ্বাস ছিল তাঁর।

ঘরের দেওয়ালের এক দিকে কালো রঙের পোস্টারে লেখা, ‘নমক সোয়াদ অনুসার, অকড় অওকাত অনুসার’। আরও এক জায়গায় আঁকা একটি মেয়ের অবয়ব। তাঁর ঠিক পাশেই ‘ভালবাসার চিহ্ন’। আরও এক জায়গায় একটি ‘ক্রস’ আঁকা। সেই ‘ক্রস’-এর চারপাশে লাল রং দিয়ে অদ্ভুত নকশা করা। তার ঠিক উপরেই কয়েকটি নম্বর। দেওয়ালের আরও এক জায়গায় ইংরেজিতে লেখা, ‘ইউ ক্যান্ট ট্রিপ’। সঙ্গে বিচিত্র একটি মুখের অবয়ব। তদন্তকারীরা আরও দেখেন, দেওয়ালের এক কোণে আঁকা দু’জনের হাত। কব্জি পর্যন্ত। একটি হাতে ধরা বিড়ি বা সিগারেট। হাতে লেখা, ‘পাফ পাফ পাস’।

এ ছাড়াও ঘরের চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে নেশার দ্রব্য। আরও আশ্চর্য, ঘরে একটা কালো বিড়ালও দেখতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। আর এই সব বিষয়ই সন্দেহ বৃদ্ধি করছে মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুতের খুনে অভিযুক্ত সাহিল কি ‘তন্ত্রসাধনা’ করতেন? তাঁর ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া বেশ কিছু রহস্যময় জিনিস সেই সন্দেহকে আরও বাড়িয়েছে। যদিও এখনও বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত নয় পুলিশ। তবে ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া জিনিসগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে তারা।

গত ৪ মার্চ স্বামী সৌরভকে খুনের অভিযোগ ওঠে তাঁর স্ত্রী মুস্কান এবং প্রেমিক সাহিলের বিরুদ্ধে। সৌরভকে খুনের পর তাঁর দেহ ১৫ টুকরো করে ড্রামে ভরে সিমেন্ট দিয়ে তা আটকে দেওয়া হয়। পরে ওই ড্রাম থেকে সৌরভের দেহাংশ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই ঘটনায় তোলপাড় গোটা মেরঠ।

Advertisement
আরও পড়ুন