(বাঁ দিকে) দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেই গাড়ি। অভিযুক্ত বংশ কাটিয়াল (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
গাড়ির ভাঙা টুকরোই শেষমেশ ধরিয়ে দিল দেহরাদূনে গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে। দিল্লি থেকে দেহরাদূনে ফেরার পথে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয় বংশ কাটিয়াল নামে বছর বাইশের এক যুবককে। দুর্ঘটনার পর পরই গাড়ি নিয়ে দিল্লিতে পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বুধবার রাতে সেই দুর্ঘটনায় চার শ্রমিকের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন আরও দু’জন।
অভিযুক্তকে ধরার জন্য দেহরাদূন পুলিশ কয়েকটি দল গঠন করে তল্লাশি চালাচ্ছিল। দুর্ঘটনাস্থল এবং আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। সেখান থেকে তারা জানতে পারে, গাড়িটি চণ্ডীগড়ের। দেহরাদূনের পুলিশ সুপার অজয় সিংহ জানিয়েছেন, সিসিটিভি ফুটেজ ছাড়াও মার্সিডিজ়ের ভাঙা টুকরোও অভিযুক্তের কাছে পৌঁছোতে সাহায্য করেছে পুলিশকে।
পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, মার্সিডিজ়ের শোরুম এবং সার্ভিস সেন্টারেও খোঁজ নেয় পুলিশ। সেখান থেকে তারা জানতে পারে গাড়িটি নভেম্বের সার্ভিস করা হয়েছিল। একটি ফাঁকা জমি থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় গাড়িটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। চণ্ডীগড় পরিবহণ দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে গাড়ির মালিকের হদিস পায় দেহরাদূন পুলিশ। গাড়িটি বংশের শ্যালক যতীন বর্মার নামে রেজিস্ট্রি করা। বুধবার রাতে গাড়িটি নিয়ে বেরিয়েছিলেন বংশ। তাঁর সঙ্গে বছর বারোর ভাইপোও ছিল ঘটনার দিন। বাড়িতে ফেরার সময় পুরাতন মুসৌরি রোডে চার শ্রমিককে পিষে দেয় গাড়িটি। দুই বাইক আরোহী আহত হন। বিপদ বুঝে গাড়িটি একটি ফাঁকা জায়গায় ফেলে রেখে ভাইপোকে একটি বাইকে করে বাড়িতে পৌঁছে দেন বংশ। তার পর দিল্লিতে পালান।