প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
উজ্জয়িনীর মহাকাল মন্দিরে পুজো দিয়ে দিল্লির উড়ানে সওয়ার হলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। দেড় বছর আগে মধ্যপ্রদেশের জনা পঁচিশেক কংগ্রেস বিধায়কদের নিয়ে বিজেপি-তে সামিল হয়ে সরকার পাল্টে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়া আর কিছু মেলেনি এখনও। গ্বালিয়রের নেতার অনুগামীদের দাবি, এ বার নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভায় তাঁর অন্তর্ভুক্তি অনিবার্য।
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় হতে পারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সেই প্রতীক্ষিত রদবদল। হতে পারে নয়া মন্ত্রিসভার বৈঠকও। নয়া মন্ত্রিসভায় নতুন প্রজন্মের অনেক নেতাই ঠাঁই পাবেন বলে বিজেপি সূত্রের খবর।
শুধু জ্যোতিরাদিত্য নন, সম্ভাব্য মন্ত্রীদের অনেকেই মঙ্গলবার দুপুর থেকে দিল্লি পৌঁছতে শুরু করেছেন। বিজেপি-র ওই সূত্রের দাবি নির্দিষ্ট ‘বার্তা’ পেয়েই তাঁরা হাজির হচ্ছেন দিল্লির দরবারে। এই তালিকায় অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সর্বানন্দ সোনোয়াল রয়েছেন। রয়েছেন সহযোগী দল জেডি(ইউ)-র দুই সাংসদ, রাজীব রঞ্জন ওরফে লালন সিংহ এবং রামচন্দ্রপ্রসাদ সিংহ। দিল্লি পৌঁছেছেন রাজস্থান থেকে লোকসভায় নির্বাচিত দুই বিজেপি সাংসদ রাহুল কাসওয়ান (চুরু) এবং সি পি জোশী (চিতৌরগঢ়)-ও
আগামী বছরের বিধানসভা ভোটের দিকে লক্ষ্য রেখে মন্ত্রিসভার রদবদলে উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড বিশেষ গুরুত্ব পাবে বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিদের একাংশ। উত্তরাখণ্ডের সদ্য-প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তীরথ সিংহ রাওয়তকে কেন্দ্রে মন্ত্রী করা হতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে।
উত্তরপ্রদেশ থেকে সম্ভাব্য বিজেপি মন্ত্রীদের তালিকায় রয়েছেন কানপুরের সাংসদ সত্যদেও পচৌরি, প্রয়াগরাজের রীতা বহুগুণা জোশী, বস্তির হরিশ দ্বিবেদী এবং ইটাওয়ার রামশঙ্কর কঠেরিয়ার নাম। এঁদের মধ্যে দলিত নেতা কঠেরিয়া আগেও ছিলেন মোদী মন্ত্রিসভায়। এ ছাড়া কৌসম্বীর সাংসদ বিনোদকুমার সোনকার, মহারাজগঞ্জের পঙ্কজ চৌধুরী, বালিয়ার সকলদীপ রাজভর, আগরার এস পি সিংহ বাঘেল, মেরঠের রাজেন্দ্র আগরওয়াল এবং মোহনলালগঞ্জের কৌশল কিশোরের নামও রয়েছে আলোচনায়।
এনডিএ শরিকদের মধ্যে আপনা দল(এস)-এর মির্জাপুরের সাংসদ অনুপ্রিয়া পটেল ফের কেন্দ্রে মন্ত্রী হতে পারেন। নিষাদ পার্টির প্রধান সঞ্জয় নিষাদের সাংসদ-পুত্র প্রবীণেরও প্রতিমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিজেপি সূত্রের খবর। তবে কাগজে-কলমে প্রবীণ সন্ত কবীর নগর থেকে বিজেপি-র টিকিটে জেতা সাংসদ।
আগামী বছরের গোড়ায় বিধানসভা ভোট হবে মণিপুরেও। সেখানকার বিজেপি সাংসদ রাজকুমার রঞ্জন সিংহ এ বার কেন্দ্রে মন্ত্রী হতে পারেন বলে জল্পনা। অন্যদিকে, বিহারের এলজেপি সাংসদ পশুপতিনাথ পারসকেও বুধবার শপথ নিতে দেখা যেতে পারে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দরবারে। যদিও এলজেপি-র অন্য গোষ্ঠীর নেতা চিরাগ পাসোয়ান মঙ্গলবার তাঁর কাকা পশুপতিকে ‘বহিষ্কৃত নির্দল সাংসদ’ বলেছেন।