উত্তরপ্রদেশে পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে-র উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ফাইল ছবি।
আর মাত্র কিছুক্ষণ। উদ্বোধনের অপেক্ষায় ৩৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে’। দুপুর দে়ড়টায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত দিয়েই উন্মুক্ত হবে এই সড়কপথ। চমকে দেওয়ার মতো ব্যাপার হল, বিমানে ওই এক্সপ্রেসওয়ের উপরই নামবেন প্রধানমন্ত্রী।
সোমবার রাতে একটি টুইট করে প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘আগামীকাল উত্তরপ্রদেশ অগ্রগতির দিশায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করতে যাচ্ছে। দুপুর দেড়টায় পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন হবে। উত্তরপ্রদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বহুমুখী উন্নয়নের সূচনা হবে।’
Tomorrow is a special day for Uttar Pradesh’s growth trajectory. At 1:30 PM, the Purvanchal Expressway will be inaugurated. This project brings with it multiple benefits for UP’s economic and social progress. https://t.co/7Vkh5P7hDe pic.twitter.com/W2nw38S9PQ
— Narendra Modi (@narendramodi) November 15, 2021
এই সড়কপথের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেই থাকবেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। উদ্বোধন উপলক্ষে একটি ৪৫ মিনিটের ‘এয়ার শো’-এর আয়োজন করা হয়েছে। তাতে অংশ নেবে রাফাল থেকে শুরু করে মিরাজ, সুখোই-এর মতো যুদ্ধ বিমান।
৮ লেনে পরিণত করার সুবিধা থাকছে। এখন লখনউ থেকে গাজিপুর যেতে সময় লাগে ৬ ঘণ্টা। যোগী সরকারের দাবি, পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে এই পথ পেরোতে সময় লাগবে মাত্র সাড়ে ৩ ঘণ্টা। আপাতত কয়েক দিন পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়েতে চলাফেরা বিনামূল্যে হলেও আগামী দিনে টোল দিতে হবে। এর দায়িত্ব দেওয়া হবে কোনও বেসরকারি সংস্থাকে।
পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ের মূল আকর্ষণ হল, এতে থাকছে ৩ কিলোমিটার লম্বা একটি রানওয়ে। সুলতানপুর জেলার কুডেভারে তৈরি হয়েছে যুদ্ধ বিমান ওঠানামার জন্য রানওয়ে। রাস্তার দু’ধারে শিল্পায়ন করা হবে বলে যোগী সরকার দাবি করেছে।
যদিও এই এক্সপ্রেসওয়ে নিয়েও রাজনৈতিক তরজা জারি রয়েছে। সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব দাবি করেছেন, তাঁর সরকারের সময় ৩৪১ কিলোমিটারের ‘সমাজবাদী’ এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির কাজ শুরু হয়।
সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হয়েছে ৩৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে। এই সড়কপথের মাধ্যমে রাজধানী লখনউয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের মউ, আজমগড়, বারবাঁকি, প্রয়াগরাজ, বারাণসী। আপাতত ৬ লেনের রাস্তা তৈরি হলেও ভবিষ্যতে একে এখন যোগী সরকার কৃতিত্ব চুরি করে নিজের নামে চালাচ্ছে। একই দিনে অভিযানেরও ডাক দিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে এই সড়কপথের উদ্বোধন ঘিরে চড়ছে উত্তরপ্রদেশের রাজনীতির পারদ।