PM Narendra Modi

শনিতে আমেরিকায় মোদীর কূটনীতি-যাত্রা, রাষ্ট্রপুঞ্জের অধিবেশনের পাশাপাশি যোগ দেবেন কোয়াডে

অতীতে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর নিউ ইয়র্কে যাওয়াটা নিছকই একটি বার্ষিক অনুষ্ঠান ছিল। কিন্তু ২০১৪ সালে সেই রুটিন অনুষ্ঠান থেকে সরে এসে আমেরিকা সফরে এক কূটনৈতিক মাত্রা যোগ করেছিলেন মোদী।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০০:০৭
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।

আগামী ২১ সেপ্টেম্বর তিন দিনের আমেরিকা সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় বক্তৃতা করার পাশাপাশি চতুর্দেশীয় অক্ষ ‘কোয়াড’-এর শীর্ষবৈঠক এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত ও অনাবাসী ভারতীয়দের সভায় যোগ দেবেন তিনি। মঙ্গলবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে।

Advertisement

অতীতে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর নিউ ইয়র্কে যাওয়াটা নিছকই একটি বার্ষিক অনুষ্ঠান ছিল। কিন্তু ২০১৪ সালে সেই রুটিন অনুষ্ঠান থেকে সরে এসে আমেরিকা সফরে এক কূটনৈতিক মাত্রা যোগ করেছিলেন মোদী। সেখানকার ভারতীয় সমাজকে সঙ্গে নিয়ে সে বারই প্রথম বার সম্মেলনের আয়োজন হয়েছিল।

এ বার প্রবাসী ভারতীয় এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের মধ্যে প্রায় ২৫ হাজার জন সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন বলে খবর। ঘটনাচক্রে, এ বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অন্যতম প্রার্থী ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস। ২২ তারিখ ‘মোদী অ্যান্ড ইউএস প্রোগ্রেস টুগেদার’— এই বিষয়ক সম্মেলন হবে নিউ ইয়র্কে। প্রসঙ্গত, নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরেই হয় সাধারণ সভা।

আগামী ২১-২৩ সেপ্টেম্বরের আমেরিকার সফরে মোদীর কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ডেলাওয়ারের উইলমিংটনে চতুর্দেশীয় অক্ষ বা ‘কোয়াড’-এর শীর্ষবৈঠক। ভারত ছাড়াও আমেরিকা, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া এই সামরিক অক্ষের শরিক। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দীর্ঘ দিন ধরেই চিনের আগ্রাসী নীতির বিরোধিতা করে আসছে কোয়াড। যে ভাবে ওই অঞ্চলে প্রাধান্য বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে চিন, তাতে বাকি দেশগুলির বাণিজ্যনীতি প্রভাবিত হচ্ছে।

চিনের এই তৎপরতায় ওই অঞ্চলের দেশগুলির নিরাপত্তা নিয়েও একটা শঙ্কার মেঘ তৈরি হয়েছে। দক্ষিণ চিন সাগরের প্রায় ১৩ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিজেদের বলে দাবি করেছে চিন। শুধু তাই নয়, ব্রুনেই, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, তাইওয়ান এবং ভিয়েতনামে জলসীমা লঙ্ঘন করে কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করে সেনাঘাঁটি তৈরি করছে চিন। যা খুবই উদ্বেগজনক বলে মনে করছে কোয়াড গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি। এই সামগ্রিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করেই ২০১৭-য় গড়ে তোলা হয়েছিল কোয়াড। যদিও ইউক্রেন এবং গাজ়ায় সঙ্ঘাতের আবহে কোয়াডের তৎপরতা কিছুটা স্তিমিত হয়ে পড়েছে সাম্প্রতিককালে।

Advertisement
আরও পড়ুন