Maharashtra Assembly Election 2024

মহারাষ্ট্রে প্রচারে মোদীর মুখে সেই অনুচ্ছেদ ৩৭০

কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠা হলে সেখানে অম্বেডকরের লেখা সংবিধান বাতিল হয়ে পড়বে বলে মরাঠি অস্মিতা উস্কে দিয়েছেন মোদী। বিজেপি শিবিরের ব্যাখ্যা, রাহুল গান্ধী লোকসভার আগে থেকে প্রচার চালাচ্ছেন বিজেপি শাসনে সংবিধান বিপদে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:০৯
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।

ভোট হচ্ছে মহারাষ্ট্রে। অথচ, মরাঠা ভূমিতে আজ প্রথম বার ভোট প্রচারে গিয়ে প্রচারের বিষয়বস্তু হিসেবে মূলত জম্মু-কাশ্মীর প্রসঙ্গে সরব হলেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, জম্মু-কাশ্মীরে ইন্ডিয়া মঞ্চ পাকিস্তানের ইশারায় যতই বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করুক না, তিনি ও তাঁর দল ক্ষমতায় থাকা পর্যন্ত তা কোনও ভাবেই সম্ভব হবে না। অন্য দিকে, সংবিধানের জনক তথা মহারাষ্ট্রের ভূমিপুত্র বি আর অম্বেডকরের লেখা সংবিধানকে জম্মু-কাশ্মীরে ইন্ডিয়া মঞ্চ বাতিলের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বলে রাজ্যের মানুষের আবেগকে উস্কে দেওয়ার কৌশল নেন মোদী।

Advertisement

রাজনীতিকেরা বলছেন, আজ মহারাষ্ট্রের ধূলে-র প্রচারে জম্মু-কাশ্মীর প্রসঙ্গে হুঙ্কার দিয়ে জাতীয়তাবাদ উস্কে দেওয়ার কৌশল নিলেন মোদী। জম্মু-কাশ্মীরে ক্ষমতায় এসেই এনসি-কংগ্রেস জোট অনুচ্ছেদ ৩৭০ ধারা পুনর্বহালের পক্ষে প্রস্তাব আনে। কাশ্মীরকে অশান্ত করার লক্ষ্যে ইন্ডিয়া মঞ্চের ওই উদ্যোগের পিছনে পাকিস্তান বা বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির হাত রয়েছে বলে সরব হন মোদী। তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, কংগ্রেস তথা ইন্ডিয়া মঞ্চ আসলে দেশবিরোধী। যাদের লক্ষ্য, কাশ্মীরে ফের অশান্তির বাতাবরণ ফিরিয়ে আনা। তবে মোদীর দাবি, ‘‘যত দিন আমি প্রধানমন্ত্রী আছি, কাশ্মীরে অনুচ্ছেদ ৩৭০ ফিরবে না।’’

কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠা হলে সেখানে অম্বেডকরের লেখা সংবিধান বাতিল হয়ে পড়বে বলে মরাঠি অস্মিতা উস্কে দিয়েছেন মোদী। বিজেপি শিবিরের ব্যাখ্যা, রাহুল গান্ধী লোকসভার আগে থেকে প্রচার চালাচ্ছেন বিজেপি শাসনে সংবিধান বিপদে। অথচ, তাঁর দল কাশ্মীরে এমন শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে যারা অম্বেডকর প্রণীত সংবিধানকে মানতে অস্বীকার করে। বিজেপির দাবি, রাহুলদের উচিত অবস্থান স্পষ্ট করা।

বেশ কিছু দিন ধরে জাতগণনা প্রসঙ্গে সরব কংগ্রেস তথা ইন্ডিয়া মঞ্চ। মূলত কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিভাজনের অভিযোগ করেন মোদী। মোদীর অভিযোগ, “নেহরুর সময় থেকে কংগ্রেস সংরক্ষণের বিরোধিতা করে এসেছে। (গান্ধী পরিবারের) চতুর্থ প্রজন্মে প্রতিনিধি যুবরাজ রাহুল এখনও সেই বিরোধিতা চালিয়ে যাচ্ছেন।’’ মোদীর দাবি, “অতীতে ধর্মের নামে কংগ্রেস দেশভাগ করেছিল। এ বার জাতের নামে করতে চাইছে।’’ বিজেপি ৪০০ আসন পেলে সংরক্ষণ উঠে যাবে বলে লোসকভা নির্বাচনের প্রচারে নেমেছিল কংগ্রেস। ভোটের ফলে দেখা যায়, ওই প্রচারের সুফল মিলেছ ইন্ডিয়া মঞ্চের। পাল্টা প্রচারে আজ মোদীর দাবি, বিজেপি নয়, সংবিধানে থাকা সংরক্ষণ ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার পক্ষে কংগ্রেস তথা ইন্ডিয়া মঞ্চ। কংগ্রেস যাতে সমাজকে ভাঙতে না পারে সেই বার্তা দিয়ে মোদী বলেন, ‘‘এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়।’’ রাজনীতির অনেকের মতে, আজ ওই স্লোগান দিয়ে কার্যত যোগী আদিত্যনাথের ‘বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে’ স্লোগানকে স্বীকৃতি দিলেন মোদী।

অন্য দিকে, আজ ঝাড়খণ্ডের প্রচারে সংরক্ষণের যে সর্বোচ্চ ৫০% সীমা রয়েছে তা ঘুচিয়ে দেওয়ার পক্ষে সরব হন রাহুল। তিনি জাতগণনার ভিত্তিতে সংরক্ষণ দেওয়ার দাবিতে সরব হলেও, বিজেপির পাল্টা যুক্তি, আশা করা যায় রাহুল জানেন, কিছু রাজ্যে সংরক্ষণের পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু আদালত তা খারিজ করে দিয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement