কর্নাটকে জঙ্গল সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
কর্নাটকের বন্দিপুর ব্যাঘ্রপ্রকল্প পরিদর্শনে বেরিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রের ‘ব্যাঘ্রপ্রকল্প’ (প্রজেক্ট টাইগার) কর্মসূচির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রবিবারই তিনি বাঘের সংখ্যার সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করবেন। মাইসুরুতে ব্যাঘ্রপ্রকল্পের অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন।
রবিবার সকাল সকাল কর্নাটকের বন্দিপুরে জঙ্গল সফরে বেরিয়ে পড়েছেন মোদী। তাঁকে দেখা গিয়েছে আদ্যোপান্ত খাকি রঙের পোশাকে। খাকি প্যান্টের সঙ্গে জলপাই রঙা টি-শার্ট এবং হাতকাটা একটি জ্যাকেট পরে জঙ্গলে ঘুরতে বেরিয়েছেন তিনি। জিপে চড়ে প্রায় ২০ কিলোমিটার জঙ্গলের রাস্তায় ঘোরার কথা রয়েছে তাঁর। বাঘের পাশাপাশি হাতির ক্যাম্পও পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
মধ্যপ্রদেশের পরেই দেশের সবচেয়ে বেশি বাঘের বাস কর্নাটকের জঙ্গলগুলিতে। বন্দিপুর দেশের সমৃদ্ধ ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম। মোদীই প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যিনি বন্দিপুর পরিদর্শনে গেলেন। বাঘ সংরক্ষণের সঙ্গে যুক্ত প্রথম সারির কর্মী এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সঙ্গেও রবিবার দেখা করার কথা রয়েছে মোদীর।
বন্দিপুর থেকে তামিলনাড়ুর মুদুমালাই ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রে থেপাকাডু হস্তি ক্যাম্পে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’ নামের যে তথ্যচিত্রটি অস্কার জিতেছে, তার শুটিং এখানেই হয়েছিল। সেখানে গিয়ে ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’-এর হাতি এবং মাহুত দম্পতির সঙ্গেও তিনি দেখা করবেন।
১৯৭২ সালের শেষ পর্বে টাইগার টাস্ক ফোর্সের রিপোর্ট পেয়ে নড়েচড়ে বসেছিল তৎকালীন ইন্দিরা গান্ধী সরকার। দেখা গিয়েছিল, ভারতে জাতীয় পশুর সংখ্যা মাত্র ১ হাজার ৮২৭টি। তারই পরিণামে ১৯৭৩ সালের নভেম্বরে কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রক ‘ব্যাঘ্রপ্রকল্প’ (প্রজেক্ট টাইগার) কর্মসূচি শুরু করেছিল। চলতি বছর অর্ধশতক পূর্ণ হচ্ছে সেই উদ্যোগের। কর্নাটকের বিধানসভা ভোটের আগে সেই কর্মসূচিকেই হাতিয়ার করে দাক্ষিণাত্যে জঙ্গল সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদী।