Murder

দুর্ঘটনা নয়, হায়দরাবাদে ঠান্ডা মাথায় ছক কষে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে খুন করলেন ফিজ়িয়োথেরাপিস্ট

বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ককে পরিণতি দিতে স্ত্রী ও মেয়েদের খুন করেছিলেন। খুনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে দুর্ঘটনার নাটক সাজিয়েছিলেন। ঘটনার ৪৫ দিন পর গ্রেফতার খুনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৪ ১৬:৫৩

— ফাইল চিত্র।

স্ত্রী ও দুই মেয়েকে খুন করেছিলেন। প্রমাণ লোপাটের জন্য খুনের ঘটনাকে গাড়ি দুর্ঘটনার রূপ দিয়েছিলেন। কিন্তু এত ছক কষেও পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিতে পারলেন না হায়দরাবাদের ফিজ়িয়োথেরাপিস্ট। খুনের ৪৫ দিন পরে রবিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

ধৃতের নাম প্রবীণ বোঢ়া। গত ২৮ মে হায়দরাবাদ থেকে খাম্মাম জেলায় পরিবার-সহ গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন তিনি। তখনই তাঁদের গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। প্রাথমিক ভাবে প্রবীণ দাবি করেছিলেন, আচমকা গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি গাছে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তাঁর স্ত্রী (২৬) ও দুই শিশুকন্যার। শিশু দু’টির বয়স যথাক্রমে ২ ও ৩ বছর।

ঘটনার তদন্তে নেমে খটকা লাগে পুলিশের। তদন্তে জানা যায়, দুর্ঘটনার ঘটনাটি সাজানো। আদতে স্ত্রী ও মেয়েদের শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন প্রবীণ। খাম্মাম পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার এসভি রামনামূর্তি জানিয়েছেন, পুলিশের তদন্তকারী দল জানতে পারে কর্মক্ষেত্রে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন প্রবীণ। এ কথা তাঁর স্ত্রী জেনে যান। এর পরই স্ত্রী ও দুই মেয়েকে খুনের ছক কষেন প্রবীণ।

জেরার মুখে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ধৃত। তিনি জানান, কর্মক্ষেত্রে এক সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। সে কথা স্ত্রী জানতে পারায় শুরু হয় অশান্তি। এর পরই পথের কাঁটা সরাতে পরিবারকে খুনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন প্রবীণ। খাম্মাম যাওয়ার পথে প্রথমে স্ত্রীকে একটি ইঞ্জেকশন দেন তিনি। স্ত্রী অচেতন হয়ে পড়লে একে একে শ্বাসরোধ করে খুন করেন দুই মেয়েকে। সব শেষে, খুনকে দুর্ঘটনার রূপ দিতে গাড়ি নিয়ে রাস্তার ধারের একটি গাছে ধাক্কা মারেন। প্রবীণের বিরুদ্ধে খুন ও প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement