সংসদ হানায় অভিযুক্ত সাগর শর্মা। ছবি: পিটিআই।
‘প্ল্যান এ’ সফল না হলে ‘প্ল্যান বি’। সেটিও সফল না হলে তৃতীয় ‘প্ল্যানের’ প্রয়োগ। সংসদে হানা দেওয়ার আগে এ রকমই বেশ কিছু পরিকল্পনা করেছিলেন অভিযুক্তেরা। পুলিশি জেরায় এমনই দাবি করেছেন অভিযুক্তদের অন্যতম সাগর শর্মা। কী কী পরিকল্পনা করেছিলেন তাঁরা, পুলিশের জেরায় উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
তেমনই একটি পরিকল্পনার কথা পুলিশকে জানিয়েছেন সাগর। হিন্দুস্তান টাইমস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযুক্তদের পরিকল্পনার মধ্যে ছিল গায়ে আগুন দেওয়ার বিষয়টিও। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশের কাছে সাগর দাবি করেছেন, সংসদের বাইরে গায়ে আগুন দেওয়ার প্রাথমিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। তবে সেই আগুনে যে শারীরিক ক্ষতি বা প্রাণহানি না ঘটে তাই অগ্নিপ্রতিরোধক ‘জেল’ লাগিয়ে গায়ে আগুন দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। সেই পরিকল্পনা মতো তাঁরা সেই ‘জেল’ও কেনেন অনলাইন থেকে। শুধু তাই-ই নয়, অগ্নিপ্রতিরোধক এই ‘জেল’ কেনার জন্য টাকাও সংগ্রহ করেছিলেন সাগররা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেই পরিকল্পনা বাতিল করতে হয়েছিল।
তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সংসদে হানার আগে সাগর-ললিতরা এমন একটি কৌশল নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন যা গোটা দেশে শোরগোল ফেলে দেবে। এমনকি তাঁদের সেই কাজের মধ্যে দিয়ে সরকারের কাছে একটি জোরালো বার্তাও যাবে। তাই গায়ে আগুন লাগানোর মতো পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। শুধু তাই-ই নয়, সংসদের ভিতরে লিফলেট বিলি করারও পরিকল্পনাও ছিল অভিযুক্তদের।
সংসদে হানার ঘটনায় ইতিমধ্যেই ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের জেরা করে জানার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে, আর কী কী পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। গত ১৩ ডিসেম্বর সংসদের ভিতরে রংবোমা নিয়ে হানা দেন সাগর শর্মা এবং মনোরঞ্জন ডি নামে দুই যুবক। সংসদের বাইরে রংবোমা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান নীলম আজাদ এবং অমোল শিন্ডে। প্রথমে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে এই হানার মূল মাথা অমিত ঝাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার আরও এক অভিযুক্ত মহেশ কুমাওয়াতকে গ্রেফতার করা হয়েছে।