Farmers Protest

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ‘গর্জন’ আরএসএসের কৃষক সংগঠনের, দাবি আদায়ে দিল্লির পথে ৫৫ হাজার কৃষক

সংগঠনটির তরফে কেন্দ্রের কাছে একাধিক দাবিদাওয়া জানানো হয়েছে। উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম দেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে। সমস্ত কৃষিপণ্যকে জিএসটিমুক্ত করারও দাবি তোলা হয়েছে।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ ১৭:২১
দিল্লির রামলীলা ময়দানে কৃষকদের জমায়েত।

দিল্লির রামলীলা ময়দানে কৃষকদের জমায়েত। ফাইল চিত্র।

কৃষি সংক্রান্ত নানা দাবিদাওয়া নিয়ে সোমবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে জমায়েত করল কৃষকদের একটি সংগঠন। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) অনুমোদিত ভারতীয় কিসান সংঘ (বিকেএস) আগেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কিসান গর্জনের ডাক দিয়েছিল। সেই মতো দিল্লি এবং লাগোয়া উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানার নানা প্রান্ত থেকে সোমবার সকালেই বহু কৃষক দিল্লি আসতে শুরু করেন। সংগঠনটির তরফে জানানো হয়, ৫৫ হাজার কৃষকের জমায়েত হবে।

সংগঠনটির তরফে কেন্দ্রের কাছে একাধিক দাবিদাওয়া জানানো হয়েছে। উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম দেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে। সমস্ত কৃষিপণ্যকে জিএসটিমুক্ত করারও দাবি তোলা হয়েছে। এর পাশাপাশি, কেন্দ্রের কিসান সম্মান নিধি প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের করছাড়ের পরিমাণ বাড়ানো, কৃষিপণ্য বহনের কাজে যুক্ত পুরনো ট্রাক্টর বাতিল না করা-সহ একাধিক দাবি জানানো হয়েছে। সংগঠনটির অন্যতম শীর্ষ নেতা নানা আখরে জানিয়েছেন, ফসল বিক্রি করে উৎপাদন খরচটুকু না পাওয়ায় অনেক কৃষক আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। এর বিহিত চাইতেই তাঁরা দিল্লি এসেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এই কৃষক জমায়েতের জেরে দক্ষিণ ও মধ্য দিল্লির নানা জায়গায় যানজট তৈরি হয়েছে।

Advertisement

জমায়েতে উপস্থিত কৃষকদের দাবি, এই ‘শক্তি প্রদর্শনে’র পর সরকার তাঁদের বকেয়া দাবিদাওয়াগুলি মিটিয়ে দিতে বাধ্য হবে। সংঘ প্রভাবিত কৃষক সংগঠনের এই জমায়েত নিয়ে মোদী সরকারকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি হাত শিবির। কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল বলেছেন, “বিজেপি যেন অতীত থেকে শিক্ষা নেয়। একই ভুলের পুনরাবৃত্তি আশা করি তারা করবে না।”

প্রসঙ্গত, তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে এই দিল্লিতেই এগারো মাস ধরে অনশনে বসেছিলেন কৃষকরা। সংযুক্ত কিসান মোর্চার নেতৃত্বাধীন কৃষক বিক্ষোভের মুখে পিছু হঠতে হয় মোদী সরকার। বাতিল করা হয় তিন কৃষি আইন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement