Gujarat

বানভাসি গুজরাত! বাড়ছে জলস্তর, তিন শতাধিক মানুষকে স্থানান্তরিত করা হল নিরাপদ আশ্রয়ে

টানা বৃষ্টিতে বেহাল দশা গুজরাতের। এখনও পর্যন্ত অন্তত ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্লাবিত গুজরাতের বিস্তীর্ণ এলাকা। ঘরছাড়া বহু মানুষ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৪ ১৬:২৭

ছবি: এক্স।

ভারী বৃষ্টিতে আওরঙ্গা নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় গুজরাতে আবার তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। আসন্ন বন্যার আশঙ্কায় দ্রুত তৎপর হয়েছে প্রশাসন। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তিন শতাধিক বেশি মানুষকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে।

Advertisement

রবিবার মধুবন বাঁধ থেকে ছাড়া হয়েছিল প্রায় ১৪.৬২ লক্ষ কিউসেক জল। সোমবারও ৪৭,৭৬২ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এতেই জলস্তর বেড়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গুজরাতে।

জানা যাচ্ছে, মহারাষ্ট্রের ক্যান্টনমেন্ট এলাকা এবং ভালসাদ জেলায় প্রবল বৃষ্টির কারণে বিপজ্জনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে মধুবন বাঁধের জলস্তর। রবিবারও ১.১১ লক্ষ ঘনমিটার পর্যন্ত জলপ্রবাহের রেকর্ড করা হয়েছে। ফলত, বাঁধের জলস্তর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৬.৬০ মিটারের কোঠায়, যা বিপদসীমা ৮০ মিটারের কাছাকাছি।

এমনিতেই টানা বৃষ্টিতে বেহাল দশা গুজরাতের। এখনও পর্যন্ত অন্তত ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় প্রতি দিনই কোনও না কোনও মৃত্যুর খবর আসছে ওই রাজ্য থেকে। এঁদের মধ্যে কেউ বজ্রাঘাতে মারা গিয়েছেন, কারও মৃত্যু হয়েছে বৃষ্টিতে বাড়ির ভেঙে পড়া দেওয়াল চাপা পড়ে। রাস্তায় জমা জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে কারও কারও। মৃতদের মধ্যে রয়েছে শিশুরাও। বৃষ্টিতে গুজরাতের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত। বহু মানুষ ঘরছাড়া। পুরোদমে চলছে উদ্ধারকাজ।

তবে এখনই বৃষ্টি থামার কোনও নাম নেই, বলছে আবহাওয়া অফিস। মৌসম ভবন জানিয়েছে, রবিবার রাত পর্যন্ত ভালসাদ জেলার বিভিন্ন তালুকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। ভালসাদে ১৬৩ মিমি, ধরমপুরে ১০৩ মিমি, কাপরাদায় ১১৯ মিমি এবং পারডিতে ৭০ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। সোম ও মঙ্গলবারও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে ভালসাদ জেলায়। ধরমপুর এবং কাপরাদাতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার এই দুই তালুকে বন্ধ রাখা হয়েছে যাবতীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

Advertisement
আরও পড়ুন