প্রতীকী ছবি।
৫৮ নম্বর জাতীয় সড়ক যুক্ত করেছে উত্তরপ্রদেশের দুই শহর মেরঠ আর মুজফ্ফরনগরকে। আর এই ৭৩ কিলোমিটার যাত্রাপথেই গত পাঁচ বছরে ২ হাজার ৬৩৩টি পথ দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। মারা গিয়েছেন ২৫০ জন। আহতের সংখ্যা ২ হাজার ৫০০। কিন্তু তার পরেও দুর্ঘটনা এড়াতে তেমন কোনও পদক্ষেপই করেননি কর্তৃপক্ষ। কাজের কাজ বলতে দুর্ঘটনাপ্রবণ ১৩টি জায়গার মধ্যে ৪টিকে চিহ্নিত করে সেখানে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে উদ্যোগী হয়েছে।
তথ্য জানার অধিকার (আরটিআই) আইনে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকেই এই তথ্য মিলেছে। জাতীয় সড়কের এই ৭৩ কিলোমিটার অংশটি দেখভালের দায়িত্বে আছে সিওয়া টোল প্লাজা। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রতিদিন প্রায় ৪০ হাজার গাড়ি যায় সড়কের এই অংশ দিয়ে। সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে দীর্ঘকাল আন্দোলন করা নয়ডার বাসিন্দা অমিত গুপ্ত জানান, সড়ক নির্মাণ এবং পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য টোল প্লাজা কর্তৃপক্ষ যে টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন তার দ্বিগুণ টাকা টোল বাবদ আদায় করা হয়েছে। এই অমিতই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান, দুর্ঘটনা রুখতে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের পরিসংখ্যান থেকেই দেখা যাচ্ছে, চলতি বছরের অক্টোবর মাস পর্যন্ত জাতীয় সড়কের ওই অংশে মোট ৫১২টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে ৫৩ জন মারা গিয়েছেন এবং ৪৫৩ জন আহত হয়েছেন। কর্তৃপক্ষের তরফে এ-ও জানানো হয়েছে যে, ২০১১ সাল থেকে শুল্ক আদায় শুরু হলেও ওই জাতীয় সড়কে ২০২৬ সালের জুন মাসে শুল্ক আদায় বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত জাতীয় সড়কটি তৈরি করতে ৪৫১ কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অপর দিকে শুল্ক বাবদ ৯১৮ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই আয় হয়েছে।