Parliament

‘একঘরে’ হয়ে কংগ্রেসও বলছে ‘অন্য বিষয়’ নিয়ে

নির্বাচনের মুখে দাঁড়ানো দিল্লিতে আইনশৃঙ্খলার ক্রমাবনতি এবং অপরাধের ক্রমবৃদ্ধির অভিযোগে সংসদ চত্বরে স্লোগান, ধর্না দিলেন আপের সাংসদরা। আর তাতে যোগ দিলেন তৃণমূলের নাদিমুল হক, সাগরিকা ঘোষ এবং কীর্তি আজাদ।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ০৬:২৫
সংসদের চিত্র।

সংসদের চিত্র। —ফাইল চিত্র।

শীতকালীন অধিবেশনের শুরু থেকেই তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, আদানি কাণ্ড নিয়ে সংসদ অচল করে রাখাকে সমর্থন করে না তারা। মানুষের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ‘অন্য অনেক বিষয়’কে সামনে আনতে হবে। আদানি নিয়ে যৌথ সংসদীয়কমিটির তদন্তের দাবিতে আজ সংসদেরদু’কক্ষই সোমবার পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যাওয়ার পর ‘অন্য বিষয়’ নিয়ে সরব হল আপ, তৃণমূল এবং এসপি।

Advertisement

নির্বাচনের মুখে দাঁড়ানো দিল্লিতে আইনশৃঙ্খলার ক্রমাবনতি এবং অপরাধের ক্রমবৃদ্ধির অভিযোগে সংসদ চত্বরে স্লোগান, ধর্না দিলেন আপের সাংসদরা। আর তাতে যোগ দিলেন তৃণমূলের নাদিমুল হক, সাগরিকা ঘোষ এবং কীর্তি আজাদ। ছিলেন এসপি-র কয়েক জন সাংসদ-ও। যেহেতু দিল্লির আইনশৃঙ্খলা কেন্দ্রের অধীনে, তাই এই ধর্নার নিশানা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলে জানিয়েছে এই দলগুলি।

‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের মধ্যে অকংগ্রেসি দলগুলি যে ‘জিঞ্জার গোষ্ঠী’ তৈরি করছে, তা স্পষ্ট হয়ে যাওয়ায় কংগ্রেসের কিছুটা একঘরে হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের পক্ষ থেকে গতকালই তৃণমূল এবং অন্যান্য বিরোধী দলের কাছে বার্তা পাঠানো শুরু হয়েছে এই মর্মে—‘আপনারা যে যার বিষয় তুলতে পারেন।’ তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, আজ কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বলেছেন, ‘এটা রহস্য যে সরকার সংসদে মুলতুবি প্রস্তাব আটকানোর চেষ্টা করছে না। বরং তারা ‘মোদানির’ বিষয় নিয়ে ‘ইন্ডিয়া’কে আক্রমণাত্মক হতে দিচ্ছে। একই ভাবে মণিপুর, সম্ভল, দিল্লির আইনশৃঙ্খলার বিষয়গুলিও রয়েছে।’ রাজনৈতিক মহলের মতে, অন্য বিষয়গুলি তুলতেও যে কংগ্রেস উৎসাহী—এই বার্তাই শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম সপ্তাহের পর দিচ্ছে কংগ্রেস। মহারাষ্ট্রে ভাল ফল করতেপারলে এই কংগ্রেসের চেহারা অন্য রকম হত বলে অবশ্য দাবি করছেন তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ।

তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, তারা যে ছ’টি বিষয় (বাংলার বঞ্চনা, মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদি) নিয়ে সরব হবে বলে স্থির করেছে, আজ আপ-এর স্নোগান-মঞ্চে সেগুলিও তোলা হয়েছে। কংগ্রেসের ‘বড়দাদা’ সুলভ আচরণ কিছুটা লঘু হয়েছে বলেও মনে করছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃ্ত্ব। সোমবার থেকে যাতে সংবিধান নিয়ে আট ঘণ্টা করে আলোচনা দু’কক্ষেই শুরু হয়, তার জন্য চাপ দিচ্ছেন বিরোধীরা। আজ লোকসভার স্পিকার এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু এবং প্রতিমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল। চেষ্টা চলছে সংসদকে ফের আলোচনা ও কাজের মধ্যে ফিরিয়ে আনার।

আরও পড়ুন
Advertisement