Ankita Bhandari

অঙ্কিতা একা নন, উত্তরাখণ্ডের বিজেপি নেতার ছেলের রিসর্ট থেকে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হন প্রিয়ঙ্কাও!

ঘটনাচক্রে, তিনিও অঙ্কিতার গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। রিসর্টে কাজের জন্য এসেছিলেন। অঙ্কিতা খুন হওয়ার পর থেকেই প্রিয়ঙ্কার নাম উঠে এসেছে। প্রশ্ন উঠছে, কোথায় উধাও হয়ে গেলেন প্রিয়ঙ্কা?

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
দেহরাদূন শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১০:১৭
অভিযুক্ত পুলকিত আর্য। তাঁর রিসর্টের রিসেপশনিস্ট অঙ্কিতা ভণ্ডারী।

অভিযুক্ত পুলকিত আর্য। তাঁর রিসর্টের রিসেপশনিস্ট অঙ্কিতা ভণ্ডারী।

অঙ্কিতা হত্যাকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই আরও এক তরুণীর নাম ঘোরাফেরা করতে শুরু করেছে। সেই তরুণীও উত্তরাখণ্ডের বিজেপি নেতা বিনোদ আর্যর ছেলে পুলকিতের রিসর্টে কাজ করতেন। শুধু তাই নয়, আট মাস আগে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। অন্তত তেমনই দাবি করছেন স্থানীয়রা।

তরুণীর নাম প্রিয়ঙ্কা। ঘটনাচক্রে, তিনিও অঙ্কিতার গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। বনানতারা রিসর্টে কাজের জন্য এসেছিলেন। অঙ্কিতা খুন হওয়ার পর থেকেই প্রিয়ঙ্কার নাম উঠে এসেছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কোথায় উধাও হয়ে গেলেন প্রিয়ঙ্কা? অঙ্কিতার মতো কি পরিণতি হয়েছে তাঁরও? ঘটনাচক্রে, প্রিয়ঙ্কা নিখোঁজ হতেই পুলকিত অভিযোগ তুলেছিলেন যে, ওই তরুণী রিসর্টের টাকাপয়সা এবং মূল্যবান জিনিস নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। প্রিয়ঙ্কার নামটি প্রথম প্রকাশ্যে আনেন বিট্টু ভাণ্ডারী নামে স্থানীয় এক যুবক।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, পুলকিত বরাবরই ‘দাবাং’ গোছের। তাঁর বিরুদ্ধে অপহরণেরও অভিযোগ আছে। রিসর্টের এক কর্মী বেতন চেয়েছিলেন বলে তাঁকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে একটি চকোলেটের কারাখানায় বন্দি করে রেখেছিলেন বলে অভিযোগ। ওই কর্মী রুদ্রপ্রয়াগের বাসিন্দা ছিলেন। স্থানীয় এক সমাজকর্মীর উদ্যোগে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছিল।

স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, আজ যেখানে পুলকিতের বিলাসবহুল রিসর্ট, সেখানে আগে চকোলেটের কারখানা ছিল। ২০১৮-১৯ সালে ওই কারখানার কিছুটা দূরেই বনানতারা রিসর্টটি খুলেছেন। এক সংবাদমাধ্যমকে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “লকডাউনের সময় এই রিসর্টে খুব বেশি লোক আসতেন না। তবে লকডাউন উঠে যাওয়ার পর থেকেই রমরমা হয়।” তাঁর কথায়, “গ্রামবাসী এবং স্থানীয়দের কারও সঙ্গে পুলকিতের সম্পর্ক ভাল নয়। কোনও স্থানীয়কে রিসর্টের কাজে নেন না। এই রিসর্টের বেশির ভাগ কর্মী অন্য জেলার।”

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালে কোভিড নিয়মবিধি ভঙ্গ করার অভিযোগও রয়েছে পুলকিতের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ভ্রমণ পাস ছাড়াই বদ্রিনাথ মন্দিরের রাস্তায় বেআইনি ভাবে ঢুকে পড়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই সময় অমরমণি ত্রিপাঠি নামে এক রাজনীতিকের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। সেই রাজনীতিক আবার এক তরুণীর খুনের অভিযোগে জেল খাটছেন।

আরও পড়ুন
Advertisement