জাতীয় নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার অভিযুক্ত। — প্রতীকী চিত্র।
এক আদিবাসী যুবককে দিয়ে জোর করে জুতোর ফিতে বাঁধানোর অভিযোগ মধ্যপ্রদেশের ইনদওরে। সেই ঘটনায় এ বার কড়া পদক্ষেপ করল জেলা প্রশাসন। ঘটনায় এক অভিযুক্তকে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএ) আওতায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বছর আঠাশের ধৃত ওই যুবকের নাম রীতেশ রাজপুত। আরও এক অভিযুক্ত বর্তমানে পলাতক। তাঁকেও খুঁজছেন পুলিশকর্মীরা।
উল্লেখ্য, জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় কোনও ব্যক্তিকে অপরাধ করা থেকে ঠেকাতে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে গ্রেফতার করা যায়। মূলত জাতীয় নিরাপত্তা কিংবা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই ধরনের পদক্ষেপ করা হয়ে থাকে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ে প্রকাশ, ঘটনাটি ঘটেছিল ১৮ অগস্ট। ২২ বছর বয়সি এক আদিবাসী যুবককে নিজের জুতোর ফিতে বেঁধে দেওয়ার জন্য বাধ্য করেছিলেন অভিযুক্ত যুবক। ইনদওরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ঋষিকেশ মীনা জানিয়েছেন, রাস্তায় গা়ড়ি চালানোকে কেন্দ্র করে ওই আদিবাসী যুবকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন রীতেশ। এর পর পরিস্থিতি ক্রমে তপ্ত হয়। অভিযোগ, ওই আদিবাসী যুবককে মারধর ও অত্যাচার শুরু করেন ধৃত যুবক। এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। নিজের জুতোর ফিতে বেঁধে দেওয়ার জন্য প্রহৃত যুবককে বাধ্য করেন তিনি।
গোটা ঘটনাটি ধরা পড়ে সিসিটিভি ক্যামেরায়। তা ছাড়া পথচলতি লোকেরাও অনেকে সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেন এবং সমাজমাধ্যমে শেয়ার করেন। দৃশ্যটি ভাইরাল হতেই সেখানকার আদিবাসী সমাজের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধে। ঘটনার নিন্দা জানান তাঁরা। বিষয়টি ইতিমধ্যে নজরে আসে পুলিশেরও। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার বলেন, “পুলিশের তরফে প্রস্তাব পাওয়ার পর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল জেলা প্রশাসন। সেই মতো অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এনএসএ মোতাবেক তাঁকে জেলে পাঠানো হবে।”
রীতেশের পাশাপাশি আরও এক জন অভিযুক্ত রয়েছেন এই ঘটনায়। দ্বিতীয় অভিযুক্ত এলাকা থেকে পলাতক। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, দ্বিতীয় অভিযুক্তকেও চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য তল্লাশি শুরু হয়েছে।