Omicron

Omicron in India: ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ, দিল্লি বিমানবন্দরে চরম অব্যবস্থা, দুর্ভোগের অভিযোগ যাত্রীদের

দিল্লি বিমানবন্দরের আধিকারিকরা বলছেন, যাত্রীদের সুবিধার জন্য তাঁরা একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছেন। কিন্তু,যাত্রীরা বলছেন অন্য কথা।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২১ ১৫:০৭
করোনা পরীক্ষার জন্য লম্বা লাইন দিল্লি বিমানবন্দরে। শুক্রবার। ছবি রয়টার্স

করোনা পরীক্ষার জন্য লম্বা লাইন দিল্লি বিমানবন্দরে। শুক্রবার। ছবি রয়টার্স

ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগের জেরে একাধিকবার বিধিনিষেধে পরিবর্তন এনেছে সরকার। এই পরিস্থিতিতে ভোগান্তির মধ্যে পড়ছেন বিদেশ থেকে উড়ানে আগত যাত্রীরা। করোনা পরীক্ষার জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। বিমানবন্দরের আধিকারিকরাও স্পষ্ট করে কিছু বলছেন না কী নির্দেশিকা রয়েছে। ফলে, একরাশ উদ্বেগ নিয়ে যাত্রীদের প্রায় পাঁচ থেকে ছ’ঘণ্টা লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। বিমানবন্দের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মাস্ক না পরারও অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় রাশিয়া থেকে ভারতের মাটিতে পা রেখেছেন সুজানে। করোনা পরীক্ষা মিটিয়ে দিল্লি বিমানবন্দর থেকে বেরিয়েছেন দুপুরবেলা। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘আধিকারিক বলছেন করোনা পরীক্ষা করতে। কিন্তু, আমি জানতে পারছি না এর নিয়ম-কানুন কী। আমার টেস্টের জন্য প্রায় চার ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হল। যদি আগে থেকে আধিকারিক এ বিষয়ে জানাতেন তবে ভোগান্তি হতো না।’’

Advertisement

একই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন পরমজিৎ কউর (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নভজ্যোৎ সিংহ কউর। কার্যত কেঁদে ফেলার মতো অবস্থায় এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে নভজ্যোৎ বলেন, ‘‘এক-একজনের করোনা পরীক্ষা করতে সাড়ে তিন হাজার টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। কার্ডে নয়, নেওয়া হচ্ছে নগদে। টেস্ট করতে অনেক বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে।’’

বেশি টাকা খরচ করেও রির্পোট হাতে পেতে সময় লাগছে একই। নভজ্যোতের মা পরমজিৎ বলেন, ‘‘বিমানবন্দরের আধিকারিকরা জানতে চান ৫০০ না সাড়ে তিন হাজার টাকার টেস্ট করাবেন? তাঁরা আরও বলেন, ৫০০ টাকার চেয়ে সাড়ে তিন হাজার টাকা মূল্যের পরীক্ষার ক্ষেত্রে রিপোর্ট হাতে পেতে অনেক কম সময় লাগবে। আমরা সাড়ে তিন হাজারের টেস্ট করাই। কিন্তু, দেখা যায় দু’টি ক্ষেত্রে একই সময় লাগছে।’’

নভজ্যোৎ জানান, স্পেন থেকে বিমানে ওঠার আগের তাঁরা করোনা পরীক্ষা করিয়েছিলেন। যার বৈধতা ৭২ ঘণ্টা। কিন্তু সেই রিপোর্ট মানা হল না। বিমানেও জানানো হয়নি এই পরীক্ষার বিষয়ে। তিনি বলেন, ‘‘যে আত্মীয়রা আমাদের জন্য বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন, তাঁদের প্রায় ছ’ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে।’’ বিমানবন্দরের আধিকারিকরা কেউ মাস্ক পরেননি বলে অভিযোগ করেন তিনি।

যদিও দিল্লি বিমানবন্দরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, যাত্রীদের সুবিধার জন্য তাঁরা একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছেন। কিন্তু, বিমানবন্দরের বাইরে যাত্রীরা বলছেন অন্য কথা।

Advertisement
আরও পড়ুন