Manish Sisodia

‘প্রভাবশালী ছিলেন, নষ্ট করতে পারেন তথ্যপ্রমাণ’! সিসৌদিয়াকে জামিন দিল না দিল্লি হাই কোর্ট

দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় ২০১৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌসিয়াকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তিনি বর্তমানে তিহাড় জেলে বন্দি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ মে ২০২৪ ১৯:৫৩
মণীশ সিসৌদিয়া।

মণীশ সিসৌদিয়া। — ফাইল চিত্র।

আবগারি দুর্নীতির মামলায় দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়ার জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল দিল্লি হাই কোর্ট। বিচারপতি স্বর্ণকান্তা শর্মা আপ নেতা মণীশের জামিনের আবেদন খারিজ করে জানান, ধৃত প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী এক জন ‘প্রভাবশালী ব্যক্তি’ এবং তাঁর বিরুদ্ধে দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলার বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ ধ্বংসের অভিযোগ উঠেছে ইতিমধ্যে। তাই আবগারি দুর্নীতি সংক্রান্ত সমস্ত মামলায় তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করা হচ্ছে।

Advertisement

দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় ২০১৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সিসৌসিয়াকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। এই মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংহও। চলতি বছরের এপ্রিলের গোড়ায় জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। চলতি বছরের ২১ মার্চ এই আবগারি দুর্নীতিকাণ্ডেই গ্রেফতার হয়েছিলেন আম আদমি পার্টি (আপ) প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। গত ১০ মে তাঁর অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট। লোকসভা ভোটে প্রচারের সুযোগ দিতেই ১ জুন পর্যন্ত কেজরীকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।

গত ৫ এপ্রিল তিহাড় জেল থেকে দিল্লিবাসীর উদ্দেশে চিঠি লেখেন সিসৌদিয়া। চিঠিতে তিনি লেখেন, “খুব শীঘ্রই আপনাদের সঙ্গে দেখা হবে।” চিঠিতে সিসৌদিয়া আরও জানান, তাঁদের দল যে ভাবে সুষ্ঠু শিক্ষাব্যবস্থা এবং স্কুল নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, সেই লড়াই জারি থাকবে। এর পরই সিসৌদিয়া তাঁর গ্রেফতারিকে ব্রিটিশ জমানায় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের গ্রেফতারির সঙ্গে তুলনা করেছেন। সিবিআই এবং ইডির অভিযোগ, মদ বিক্রেতাদের বিশেষ সুবিধা দিতেই সংশোধন করা হয়েছিল দিল্লির আবগারি নীতি। মদের ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় লাইসেন্সেও ছাড় দেওয়া হয়েছিল। কিছু ক্ষেত্রে মকুব করা হয়েছিল। এই আবগারি নীতি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা। তার পরেই তদন্তের সূত্র ধরে গ্রেফতার হয়েছিলেন সিসৌদিয়া।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement