Gujarat Bridge Collapse

প্রশাসনের সবুজ সঙ্কেত ছাড়াই খুলে দেওয়া হয় ঝুলন্ত সেতু! গুজরাত-বিপর্যয়ে মৃত বেড়ে ১৪১

গুজরাতের মোরবিতে নদীর উপর যে ঝুলন্ত সেতুটি ভেঙে পড়ে, তা সংস্কারের পর কিছু দিন আগেই জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। তার পর ৬ দিনের মাথায় এই বিপর্যয়। মৃত বেড়ে হয়েছে ১৪০।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
গান্ধীনগর শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২২ ০৮:০৫
সেতুটি সংস্কারের পর কিছু দিন আগেই জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল।

সেতুটি সংস্কারের পর কিছু দিন আগেই জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। ছবি: টুইটার

গুজরাতের মাচ্চু নদীর উপর সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সোমবার এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৪১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়ে আহতও হয়েছেন বহু মানুষ। অভিযোগ, এই সেতু জনসাধারণের জন্য চালু করার আগে প্রশাসনের কাছ থেকে সবুজ সঙ্কেত নেওয়া হয়নি। সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে কোনও ‘ফিটনেস সার্টিফিকেট’ নেওয়া হয়নি। রবিবার সন্ধ্যার বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ হিসাবে কর্তৃপক্ষের এই গাফিলতিকে দায়ী করছেন কেউ কেউ।

গুজরাতের মোরবিতে নদীর উপর যে ঝুলন্ত সেতুটি ভেঙে পড়েছে, তা সংস্কারের পর কিছু দিন আগেই জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। সেতু ফের চালু হওয়ার ৬ দিনের মাথায় এই বিপর্যয়। সঙ্কীর্ণ সেতুটিতে রবিবার সন্ধ্যায় প্রায় ৫০০ মানুষ উঠে পড়েছিলেন বলে দাবি। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, সেতুর উপর দাঁড়িয়ে কী ভাবে লাফালাফি করছেন অনেকে। এর পরেই নদীর উপর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে সেতুটি।

Advertisement

জানা গিয়েছে, সেতুটি সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ‘ওরেভা’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থাকে। সংস্কারের জন্য দীর্ঘ ৭ মাস সেতুটি বন্ধ ছিল। গত ২৬ অক্টোবর তা খোলা হয়। মোরবি পুরসভার তরফে সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ওই সংস্থা তাদের কাছ থেকে কোনও শংসাপত্র নেয়নি। এমনকি সেতু সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যও সরকারকে জানানো হয়নি বলে অভিযোগ। সরকার এই সেতু সম্পর্কে তেমন কিছুই জানত না, দাবি মোরবি পুরসভা কর্তৃপক্ষের।

রবিবার সারা রাত ধরে মাচ্চু নদীতে উদ্ধারকার্য চলেছে। স্থানীয় বাসিন্দা এবং উদ্ধারকারী-সহ অন্তত ২০০ জন উদ্ধারকার্যে হাত লাগিয়েছেন। গুজরাতে রবিবারই তিন দিনের সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে গুজরাত সরকার ৪ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে মৃতদের পরিবারের জন্য ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এ ছাড়া আহতদের ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা করবে সরকার। সেতু বিপর্যয়ে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement