প্রকাশ্যেই জেলাশাসককে ধমক দেন নির্মলা।
তেলঙ্গানার বিরকুল মণ্ডল গ্রামে রেশন দোকানে নেই প্রধানমন্ত্রী মোদীর ছবি! রেগেমেগে কামারেড্ডির জেলাশাসককে ধমক দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তেলঙ্গানার নগরোন্নয়ন মন্ত্রী কেটি রামা রাও। তাঁর দাবি, এই আচরণ আমলাদের মনোবল ভেঙে দেবে।
কামারেড্ডির জেলাশাসক জিতেশ ভি পাটিলকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনে করিয়ে দেন যে, অতিমারির প্রভাব কাটাতে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার আওতায় তাদের চাল সরবরাহ করছে কেন্দ্র। অথচ তেলঙ্গানার রেশন দোকানে ছবি নেই সেই প্রধানমন্ত্রীর। এর পরেই জিতেশের দিকে রেগে তাকান নির্মলা।
২০২৪ সালের লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে ‘লোকসভা প্রভাস যোজনা’ চালু করেছে বিজেপি। সেই অভিযানে বৃহস্পতিবার তেলঙ্গানার জাহিরাবাদ লোকসভা কেন্দ্র পরিদর্শন করছেন নির্মলা। শুক্রবার বিরকুরের একটি রেশন দোকানে গিয়ে চটে যান তিনি। ক্ষোভ বেড়ে যায়, যখন জেলাশাসক তাঁর প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যর্থ হন। নির্মলা বলেন, ‘‘বিনামূ্ল্যে চাল দিচ্ছে কেন্দ্র। আমি দেখতে এসেছি, তা ঠিক ভাবে বণ্টন হচ্ছে কিনা।’’
#ParliamentPravasYojana లో భాగంగా బాన్సువాడలో పర్యటిస్తున్న కేంద్ర ఆర్థిక మంత్రి శ్రీమతి @nsitharaman నిజామాబాద్, కామారెడ్డి జిల్లాల సివిల్ సప్లై అధికారికి క్లాస్ పీకారు. ఓ రేషన్ షాపు సందర్శించిన మంత్రి రూపాయికి కిలో బియ్యం పథకంలో రాష్ట్ర ప్రభుత్వ వాటా ఎంతని అధికారిని అడిగారు. pic.twitter.com/bdl117sX28
— BJP Telangana (@BJP4Telangana) September 2, 2022
I am appalled by the unruly conduct of FM @nsitharaman today with District Magistrate/Collector of Kamareddy
— KTR (@KTRTRS) September 2, 2022
These political histrionics on the street will only demoralise hardworking AIS officers
My compliments to @Collector_KMR Jitesh V Patil, IAS on his dignified conduct
এর পরেই তিনি তুলে আনেন অতিমারির প্রসঙ্গ। জেলাশাসকের উদ্দেশে নির্মলা বলেন, ‘‘অতিমারি শুরুর পর ২০২০ সালের মার্চ-এপ্রিল থেকে কেন্দ্র ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরের চাল বিনামূল্যে বণ্টন শুরু করেছে। আপনি বলতে পারেন, এতে কেন্দ্র আর রাজ্যের অবদানের অনুপাত?’’ জবাব নেই বলে জানিয়ে দেন পাটিল। তার পরেই নির্মলা আরও রেগে গিয়ে বলেন, ‘‘ভাবুন আর আধ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিন।’’
শুক্রবার রাতেই টুইটারে এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রামা রাও। টুইটারে লেখেন, ‘কামারেড্ডির জেলাশাসকের সঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী যে ব্যবহার করলেন, তাতে আমি আতঙ্কিত। পরিশ্রমী আইএএস অফিসারদের মনোবল ভেঙে দেবে।’