Navjot Singh Sidhu

‘রাহুল গান্ধী বিপ্লব’ আসছে, দশ মাস পর জেল থেকে বেরিয়েই বিজেপিকে তোপ সিধুর

শুক্রবার নিজের টুইটার হ্যান্ডল থেকে একটি টুইট করে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন সিধু। সেই মোতাবেক শনিবার পাতিয়ালা জেল থেকে ছাড়া পান পঞ্জাবের প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
চন্ডীগড় শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৩ ১৮:৫৭
Navjot Singh Sidhu walks out after ten months in Jail over a road rage case

দশ মাস পর জেল থেকে ছাড়া পেলেন সিধু। ফাইল চিত্র।

কয়েদবাসের মেয়াদ ছিল এক বছর। তবে জেলে ভাল আচরণ করার জন্য দশ মাসের মাথায় মুক্তি পেলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা রাজনীতিক নভজ্যোৎ সিংহ সিধু। ‘ইচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত’ করার পুরনো একটি মামলায় সাজা হয়েছিল সিধুর। শুক্রবার নিজের টুইটার হ্যান্ডল থেকে একটি টুইট করে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন সিধুই। সেই মোতাবেক শনিবার দুপুরে পাতিয়ালা সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পান পঞ্জাবের প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি।

Advertisement

জেল থেকে বেরিয়েই রাজ্য রাজনীতিতে আবার সক্রিয় হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন সিধু। জানিয়েছেন, তিনি রাজনীতির কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে চান। একই সঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হয়েছেন সিধু। তাঁর কথায়, “দেশের গণতন্ত্র আজ শিকলে বাঁধা।” রাহুল গান্ধীর পাশে দাঁড়িয়ে সিধুর সংযোজন, “পঞ্জাব এই দেশের সুরক্ষাকবচ। কিন্তু দেশে স্বৈরাচারী শাসন চলছে। তা রুখতে রাহুলের নেতৃত্বে বিপ্লব আসবে।” খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংহকে নিয়ে পঞ্জাবের রাজনীতি এমনিতেই উথালপাতাল। এই আবহে সিধু জানান, পঞ্জাবে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার চেষ্টা চলছে। কংগ্রেসের প্রতি তাঁর আনুগত্য বোঝাতে সিধু বলেন, “আমি রাহুল, প্রিয়ঙ্কা এবং প্রতিটি কংগ্রেস কর্মীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ব।”

৩৫ বছরের পুরনো এই মামলায় ২০২২ সালের ২০ মে পাতিয়ালা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন পঞ্জাবের প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি সিধু। আদালত তাঁকে এক বছর কয়েদবাসের সাজার কথা শোনায়। চলতি বছরের ১৯ মে ছাড়া পাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষ জানান, জেলের ভিতর ভাল আচরণ করার জন্য আগেই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে সিধুকে।

যে ঘটনার জন্য সিধুকে প্রায় এক বছরের কারাবাস করতে হল, সেটি ঘটে ১৯৮৮ সালে। সিধু এবং তাঁর বন্ধু রূপিন্দর সিংহ সাঁধু রাস্তার মাঝখানে গাড়ি রেখে চলে যাওয়ায় মারুতিচালক এক বৃদ্ধ তাঁর প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ, কথা কাটাকাটির সময় গুরনাম সিংহ নামের ওই বৃদ্ধকে সপাটে থাপ্পড় মারেন সিধু। মাথায় আঘাত পেয়ে মারা যান ওই বৃদ্ধ। ওই সময় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেও নিম্ন আদালত প্রমাণের অভাবে সিধু এবং তাঁর সহযোগীকে বেকসুর খালাস করে দেয়। পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্টে অবশ্য সিধু দোষী সাব্যস্ত হন। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সিধু সুপ্রিম কোর্টে গেলে শীর্ষ আদালত হাই কোর্টের রায় খারিজ করে দেয়। নিহতের পরিবার রায় পুনর্মূল্যায়ন করার আর্জি জানায়। এই মামলায় ইচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত করার অভিযোগে সিধুকে এক বছরের সাজা শোনায় সুপ্রিম কোর্ট।

সিধু অবশ্য বার বার দাবি করে এসেছেন, তাঁর জন্য কারও মৃত্যু হয়নি। কিন্তু ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন। আদালতও তাদের পর্যবেক্ষণে জানায়, সিধুর মতো এক জন বক্সার, খেলোয়াড়ের চড়ে কারও মৃত্যু হওয়া অস্বাভাবিক নয়। সিধু এক সময় বিজেপি করলেও পরে কংগ্রেসে যোগ দেন। পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতিও হন। মূলত তাঁর সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণেই কংগ্রেস ছাড়েন পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ। ২০২২ সালে হাত প্রতীক নিয়ে অমৃতসর (পূর্ব) বিধানসভা থেকে লড়ে হেরে যান সিধু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement