মঙ্গলবার দিল্লির এনসিবি দফতরে সমীর। ছবি: পিটিআই।
আরিয়ান খান মাদক মামলা নিয়ে তাঁকে নিশানা বানানোর পাশাপাশি মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হতে পারে, বিষয়টি আঁচ করতে পেরেছিলেন আগেই। এমনই দাবি করেছেন এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে। তাই আগেভাগেই আইনি সুরক্ষার শরণাপন্ন হয়েছেন তিনি। মঙ্গলবারই বিশেষ এনডিপিএস আদালতে হাজির হয়েছিলেন সমীর।
সূত্রের খবর, আদালতে সমীর দাবি করেন, তাঁকে নিশানা বানানো হচ্ছে। শুধু তাই নয়, তাঁর পরিবার, বোন এমনকি মৃত মাকেও এই মামলায় জড়িয়ে নিশানা করা হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করতেও প্রস্তুত বলে আদালতে জানিয়েছেন সমীর। তিনি বলেন, “লক্ষ করছি বেশ কয়েক জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করছেন। বিষয়টি এনসিবি-র ডেপুটি ডিরেক্টর-জেনারেল মুথা জৈনকে জানানো হয়েছে। তিনি এনসিবি-র ডিরেক্টর জেনারেলকে যথাযথ পদক্ষেপ করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।”
এই মামলায় সমীরের বিরুদ্ধে ২৫ কোটি টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় শুরু হয়। প্রভাকর নামে যে সাক্ষী সমীর এবং কিরণ গোসাভির বিরুদ্ধে যখন টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলছেন, তার ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগেই মুম্বই পুলিশ কমিশনারকে চিঠি লিখে তাঁর আশঙ্কার কথা জানান সমীর। পুলিশ কমিশনারকে চিঠিতে সমীর আশঙ্কা প্রকাশ করে জানান যে, তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হতে পারে। ঘটনাচক্রে, তার ঠিক কয়েক ঘণ্টা পরই গোসাভির ব্যক্তিগত দেহরক্ষী সইল এনসিবি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ঘুষ-সহ একাধিক অভিযোগ আনেন। যদিও এনসিবি বিবৃতি জারি করে সইলের সমস্ত অভিযোগকে খারিজ করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা বলে দাবি করেছেন সমীরও।