Ram Mandir Inauguration

পাক অধিকৃত কাশ্মীরের শারদাপীঠ কুণ্ডের জল রামমন্দিরে পাঠিয়ে দিলেন তনবির, এল ব্রিটেন ঘুরে

২০১৯ সালের পর থেকে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে ডাক যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ। অগত্যা ব্রিটেন হয়ে দিল্লি পৌঁছয় সেই ‘পবিত্র জল’। তার পর সেটি পৌঁছয় অযোধ্যায়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:৫১
Muslim man sends holy water from Pak occupied Kashmir to Ayodhya via Britain

অযোধ্যায় পৌঁছল সেই ‘পবিত্র জল’। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।

পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের ‘পবিত্র জল’ও এ বার পৌঁছে গেল অযোধ্যার রামমন্দিরে। পাঠালেন তনবির আহমেদ নামের এক প্রৌঢ়। তবে সহজে অযোধ্যায় পৌঁছয়নি সেই জল। ২০১৯ সালের পর থেকে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে ডাক যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ। অগত্যা ব্রিটেন হয়ে দিল্লি পৌঁছয় সেই ‘পবিত্র জল’। তার পর সেটি পৌঁছয় অযোধ্যায়।

Advertisement

কিন্তু এই ‘পবিত্র জল’ এল কোথা থেকে? বিখ্যাত তীর্থস্থান শারদাপীঠ কুণ্ডে থাকা জলকে ‘পবিত্র’ বলে বিশ্বাস করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অবিভক্ত কাশ্মীরের বহু লোকগাথায়, গল্প, কাহিনিতে এই কুণ্ডের উল্লেখ রয়েছে। বর্তমানে এই তীর্থস্থানটি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পড়ে। যদিও ভারত দাবি করে যে, পাক অধিকৃত কাশ্মীর তাদেরই অংশ।

শারদাপীঠ রক্ষার জন্য কাশ্মীরে তৈরি হওয়া ‘সেভ শারদা কমিটি কাশ্মীর’-এর প্রতিষ্ঠাতা রবীন্দ্র পণ্ডিত এই প্রসঙ্গে জানান, ভারত-পাক ডাক যোগাযোগ না থাকায় অনেক পথ ঘুরে অযোধ্যায় পৌঁছেছে ‘পবিত্র জল’। তাঁর কথায়, “শারদাপীঠের শারদা কুণ্ডের জল তুলেছিলেন তনবির এবং তাঁর সঙ্গীরা। তার পর সেই জল পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে পৌঁছয়। পরে সেই জল পৌঁছয় তনবিরের ব্রিটেন নিবাসী কন্যা মাঘরিবির কাছে।” জানা যায়, ব্রিটেন থেকে সেই জল সোনাল শের নামের এক কাশ্মীরি পণ্ডিতের সঙ্গে পৌঁছয় গুজরাতের রাজধানী আমদাবাদে। আমদাবাদ থেকে সেটির পরের গন্তব্য হয় দিল্লি।

শনিবার অযোধ্যায় ‘সেভ শারদা কমিটি কাশ্মীর’-এর তরফে মঞ্জুনাথ শর্মা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতাদের হাতে শারদাপীঠের জল তুলে দেন। বিষয়টিকে ভারতের জন্য গর্বের বলে জানান ‘সেভ শারদা কমিটি কাশ্মীর’-এর সদস্যেরা। প্রসঙ্গত, ১৯৪৮ সালের পর থেকে ভারত থেকে শারদাপীঠে যাওয়ার সমস্ত রাস্তাই বন্ধ হয়ে যায়। তবে ওই তীর্থস্থান রক্ষায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা অঞ্চলের লোকজনকে নিয়ে তৈরি হয় ‘সেভ শারদা কমিটি কাশ্মীর’।

আরও পড়ুন
Advertisement