Farmers Protest

Grusome killing near singhu Border: দলিত শ্রমিককে হাত-পা কেটে খুন করার দায় নিল পঞ্জাবের নিহংরা

শুক্রবার ভোর পাঁচটা নাগাদ সিংঘু সীমান্তে কৃষক আন্দোলনের বিক্ষোভ মঞ্চের কাছে একটি হাত-পা কাটা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২১ ১৬:৩৪
কৃষক নেতা জানান, পুরো বিষয়টিকে ধর্মীয় রং দিতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

কৃষক নেতা জানান, পুরো বিষয়টিকে ধর্মীয় রং দিতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ছবি: পিটিআই।

দিল্লির সিংঘু সীমান্তে দলিত শ্রমিককে হত্যার দায় নিল পঞ্জাবের ‘যোদ্ধা’ সম্প্রদায় নিহংরা। শুক্রবার নিহং গোষ্ঠীর এক মুখপাত্র জানান, ‘পাপ’-এর শাস্তি দিতেই ‘অপরাধী’কে বলি দেওয়া হয়েছে। দৈবের কাছে অপরাধ করেছিল ওই যুবক। তার শাস্তি দেওয়া হয়েছে তাঁকে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় নিহং গোষ্ঠীর নির্ভইর খালসা উডনা দলের নেতা পন্থ অকালি বলবিন্দর সিং ঘটনাটির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিয়েছেন। বলবিন্দর জানিয়েছেন, সেবা করার নামে নিহংদের বিশ্বাস অর্জন করে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন ওই যুবক। শুক্রবার ভোর ৩টে নাগাদ শিখদের প্রকাশ প্রার্থনার আগে তাঁকে পবিত্র ধর্মগ্রন্থের উপরের কাপরটি সরাতে দেখেন নিহংদের কয়েকজন সদস্য। তাড়া করলে ওই যুবক ছুটে পালান। পরে অবশ্য ধরাও পড়ে যান। তার কাছ থেকে ধর্মগ্রন্থটি উদ্ধার করা হয়। আর তারপরই দেওয়া হয় শাস্তি।

Advertisement

শুক্রবার ভোর পাঁচটা নাগাদ সিংঘু সীমান্তে কৃষক আন্দোলনের বিক্ষোভ মঞ্চের কাছে একটি হাত-পা কাটা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেহটি পুলিশের ব্যারিকেডে বেঁধে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কাটা হাতটি বেঁধে দেওয়া হয়েছিল দেহের পাশে। বলবিন্দর জানিয়েছেন, পবিত্র ধর্মগ্রন্থকে অসম্মানের অপরাধেই ওই শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

নিহত যুবকের নাম লখবীর সিংহ। তিনি একজন দলিত শ্রমিক। বয়স ৩৫-৩৬। তারণ তরণ জেলার বাসিন্দা লখবীরকে তাঁর বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর দত্তক নিয়েছিল একটি পরিবার। তাঁর বাড়িতে এক বোন, স্ত্রী এবং তিন কন্যা আছে। তিন সন্তানের মধ্যে সব চেয়ে বড়টির বয়স ১২।

এর আগে লখবীর যে কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত নন তা জানিয়ে দিয়েছিলেন কৃষক নেতারা। তাঁকে যারা নির্মম ভাবে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছিল, সেই নিহং সম্প্রদায়ের সঙ্গেও সংযুক্ত কিসান মোর্চার কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছিলেন তাঁরা। শুক্রবার কৃষক আন্দোলনের নেতা জগজিৎ সিং দালেওয়াল ঘটনাটির নিন্দা করে তদন্তের দাবি করেন।

Advertisement
আরও পড়ুন