Building Collapse Deoghar

গুজরাতের পর ঝাড়খণ্ড, কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ভেঙে পড়ল বহুতল! মৃত তিন, ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে অনেকে

দেওঘরের ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছেন, সীতা হোটেলের কাছে একটি তিন তলা বাড়ি ভেঙে পড়েছে। এনডিআরএফ এবং স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল ঘটনাস্থলে রয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪ ১২:৪৯
দেওঘরে ভেঙে পড়ল বাড়ি।

দেওঘরে ভেঙে পড়ল বাড়ি। ছবি: সংগৃহীত।

গুজরাতের পর এ বার ঝাড়খণ্ড। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ভেঙে পড়ল বহুতল। ধ্বংসস্তূপের নীচে অনেকেই আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে দেওঘরে। এই ঘটনায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত চার জন।

Advertisement

জেলাশাসক বিশাল সাগর জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের নীচে বেশ কয়েক জন আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) ঘটনাস্থলে পৌঁছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। কত জন ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে রয়েছেন, সেই সংখ্যাটি এখনও স্পষ্ট নয়। দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন জেলাশাসক।

দেওঘরের ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছেন, সীতা হোটেলের কাছে একটি তিন তলা বাড়ি ভেঙে পড়েছে। এনডিআরএফ এবং স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল ঘটনাস্থলে রয়েছে। একটি র‌্যাপিড রেসকিউ দলও মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে রয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স, দমকল এবং পুলিশ। ঘটনাস্থলে রয়েছেন গোড্ডার বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে, দেওঘরের পুলিশ সুপার এবং ডেপুটি কমিশনার। তাঁদের তত্ত্বাবধানে উদ্ধারকাজ চলছে বলে জানা গিয়েছে।

সাংসদ দুবে বলেন, “দেওঘরের বামবাম ঝা পথে তিন তলা বাড়ি ভেঙে পড়েছে রবিবার সকাল ৬টা নাগাদ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একটি দল পাঠিয়েছেন। সকাল থেকেই আমি ঘটনাস্থলে রয়েছি। স্থানীয়েরা তিন জনকে উদ্ধার করেছে। এক মহিলাকে উদ্ধার করেছে এনডিআরএফ। উদ্ধারকাজ এখনও চলছে।” তবে কী কারণে বহুতলটি ভেঙে পড়ল, তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন প্রশাসন।

শুক্রবার বিকেলের দিকে গুজরাতে ভেঙে পড়ে ছ’তলা একটি বাড়ি। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। সুরাতের সচিন পালি গ্রামে ছ’তলা ওই বহুতল তৈরি করা হয়েছিল। তাতে মোট ৩০টি ফ্ল্যাট ছিল। অবশ্য বেশির ভাগ ফ্ল্যাটই ছিল ফাঁকা। পাঁচটি ফ্ল্যাটে মানুষ বাস করছিলেন। শনিবার আচমকা সেই বহুতল হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা অনেকেই সে সময়ে ভিতরে ছিলেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দল। দমকলবাহিনীর প্রধান বসন্ত পারীক সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, ‘‘সারা রাত ধরে উদ্ধারকাজ চলেছে। ভিতরে কেউ আটকে আছেন কি না, তল্লাশি চলেছে। এখনও পর্যন্ত সাতটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ভোর ৬টা নাগাদ সপ্তম দেহটি পাওয়া গিয়েছে। তবে আর কেউ আটকে নেই বলেই আমাদের অনুমান। উদ্ধারকাজ চলছে।’’ প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে, বহুতলটি ২০১৭ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল। সেটি বেআইনি ভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল বলেও পুলিশ সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন
Advertisement