গ্যাংস্টার-রাজনীতিক মুখতার আনসারি। — ফাইল চিত্র।
৩৬ বছর পুরনো এক মামলায় মঙ্গলবারই দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের গ্যাংস্টার তথা রাজনীতিক মুখতার আনসারি। বুধবার সেই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আদালত। অস্ত্রের ভুয়ো শংসাপত্র বানানোর অভিযোগ উঠেছিল ‘জেলবন্দি’ মুখতারের বিরুদ্ধে।
কংগ্রেস নেতা অবধেশ রাই খুনের মামলায় মুখতার এখন বান্দা জেলে বন্দি। সেই জেল থেকেই ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘অস্ত্রের ভুয়ো শংসাপত্র’ বানানো মামলার শুনানিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। শুনানি শেষে বারাণসীর সাংসদ-বিধায়ক আদালতের বিশেষ বিচারক অবনীশ গৌতম ভারতীয় দণ্ডবিধি একাধিক ধারায় মুখতারকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
কী অভিযোগ ছিল মুখতারের বিরুদ্ধে?
১৯৮৭ সালের ১০ জুন একটি দোনালা বন্দুকের শংসাপত্রের জন্য গাজিপুরের তৎকালীন জেলাশাসকের কাছে আবেদন করেছিলেন। অভিযোগ, মুখতারের কাছে যে শংসাপত্র ছিল তাতে জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারের স্বাক্ষর নকল করা হয়েছিল। ১৯৯০ সালের ডিসেম্বরে এই জালিয়াতি প্রকাশ্যে আসে।
গাজিপুরের মোহাদাবাদ থানায় ‘ভুয়ো’ শংসাপত্রের অভিযোগ দায়ের হয়। সিআইডি তদন্ত শুরু করে। সেই তদন্তেই উঠে আসে মুখতার-সহ পাঁচ জনের নাম। এই মামলায় ১৯৯৭ সালে চার্জশিট পেশ করেন তদন্তকারী অফিসারেরা। সেই চার্জশিটে নাম ছিল মুখতার এবং গৌরীশঙ্কর শ্রীবাস্তব নামে ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মামলার শুনানি চলাকালীনই গৌরীশঙ্করের মৃত্যু হয়। এই মামলায় ১০ জন সাক্ষী দিয়েছিলেন মুখতারদের বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশের মউ সদর বিধানসভা কেন্দ্রের পাঁচ বারের বিধায়ক আনসারি অবশ্য আগে থেকে জেলবন্দি ছিলেন।