এনসিইআরটি-র সপ্তম শ্রেণীর নতুন সমাজবিজ্ঞান বই থেকে বাদ পড়ল দিল্লির মোগল এবং সুলতানি সাম্রাজ্যের প্রসঙ্গ। —প্রতীকী চিত্র।
এনসিইআরটি (ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং)-র পাঠ্যবইয়ে ফের পরিবর্তন। সপ্তম শ্রেণীর নতুন সমাজবিজ্ঞান বইয়ে রাখা হল না দিল্লির মোগল এবং সুলতানি সাম্রাজ্যের কথা। তার পরিবর্তে নতুন সংযোজন হিসাবে রাখা হয়েছে মগধ, মৌর্য, শুঙ্গ এবং সাতবাহন সাম্রাজ্যের কথা। ২০২৫ সালে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে হওয়া কুম্ভমেলার প্রসঙ্গও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে নতুন পাঠ্যবইয়ে।
নয়া শিক্ষানীতি অনুসরণ করে চলতি বছরে সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য নতুন সমাজবিজ্ঞানের বই প্রকাশ করেছে এনসিইআরটি। পুরনো বইয়ে মোগল এবং সুলতানি সাম্রাজ্য নিয়ে আলাদা দু’টি পরিচ্ছদ ছিল। নতুন বইয়ে ওই পরিচ্ছদ দু’টি আর নেই। তার পরিবর্তে এসেছে প্রাচীন ভারতীয় সাম্রাজ্যের উপর লেখা একটি নতুন পরিচ্ছদ।
উল্লেখ্য, প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বিভিন্ন পাঠ্যপুস্তক সংস্কারের কাজে হাত দিয়েছে এনসিইআরটি। নতুন বইগুলিতে ভারতীয় সভ্যতা-সংস্কৃতির উপর জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এনসিইআরটি-র পাঠ্যপুস্তক দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কেন্দ্রীয় বোর্ডের অধীনস্থ স্কুলগুলিতে পড়ানো হয়ে থাকে।
এনসিইআরটির নির্দেশিকা মেনে গত কয়েক বছরে পরিবর্তন ঘটেছে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যক্রমে। কোনও শ্রেণিতে মোগল যুগ বাদ পড়েছে। কোথাও ডারউইনের বিবর্তনবাদ। কোথাও নারী আন্দোলনের ইতিহাস। কোথাও বা ভারতের সামাজিক বৈষম্য। শিক্ষামহল এবং শিক্ষায় আগ্রহী মহল, সর্বত্রই এ নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। অভিযোগ উঠেছে, বিজেপি মূলত তাদের সঙ্কীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থ এবং দৃষ্টিকোণ থেকেই ছেঁটে ফেলার বিষয়গুলি ঠিক করছে। উল্টো মতামত হল, পড়ুয়াদের উপর অকারণ চাপ কমাতেই এই সব রদবদল। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্কই নেই।