Supreme Court

প্রেমের বিয়েই ভাঙছে বেশি! বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি সঞ্জয় করোলের বেঞ্চ এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে আইনজীবীর কাছে জানতে চায়, মামলাকারী দম্পতির প্রেম করে বিয়ে হয়েছিল কি না।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২৩ ১৮:২০
Most divorces arising from love marriages only, an observation of Supreme Court

প্রেমের বিয়েই ভাঙছে বেশি! পর্যবেক্ষণ সুুপ্রিম কোর্টের। ফাইল চিত্র।

প্রেম করে যাঁরা বিয়ে করেন, বিবাহবিচ্ছেদের অধিকাংশ ঘটনাই তাঁদের মধ্যে হয়। বুধবার বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে এমনই পর্যবেক্ষণের কথা জানাল সুপ্রিম কোর্ট।

বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি সঞ্জয় করোলের বেঞ্চ এক দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত মামলায় মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু ওই মামলার অন্যতম পক্ষ এই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। তখন উচ্চ আদালত ১ মে-র একটি রায়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে। যে রায়ে বলা হয়েছে, কোনও বৈবাহিক সম্পর্ক যদি কোনও ভাবেই মেরামত করা সম্ভব না হয়, সে ক্ষেত্রে আদালত বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিবাহবিচ্ছেদকে দ্রুত কার্যকর করতে পারে। বুধবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে আইনজীবীর কাছে ২ বিচারপতির বেঞ্চ জানতে চায়, মামলাকারী দম্পতির প্রেম করে বিয়ে হয়েছিল কি না। উত্তরে সম্মতিসূচক উত্তর দেন আইনজীবী। তার পরই ওই পর্যবেক্ষণের কথা জানায় শীর্ষ আদালত।

Advertisement

১ মে-র রায়ে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জয় কিসান কউল, সঞ্জীব খন্না, এএস ওকা, বিক্রম নাথ এবং জেকে মাহেশ্বরীর ৫ সদস্যের বেঞ্চ জানায়, কোনও ভেঙে যাওয়া বৈবাহিক সম্পর্ক যদি আর কোনও ভাবেই মেরামত করা সম্ভব না হয়, তবে সংবিধানের ১৪২ নম্বর অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করে বিবাহবিচ্ছেদে দ্রুত সায় দিতে পারে তারা। আদালত এই বিশেষ অবস্থাকে এক কথায় বলছে ‘পুনরুদ্ধারের অসাধ্য বৈবাহিক সম্পর্ক’। বিবাহবিচ্ছেদের পর সন্তানের দায়িত্ব কে নেবেন, সম্পত্তির ভাগ কে পাবেন, এ সব কিছু খতিয়ে দেখে আদালতই ঠিক করবে বিবাহবিচ্ছেদের আর্জিটির দ্রুত মীমাংসা হওয়া প্রয়োজন কি না।

এর আগে হিন্দু বিবাহ আইনের ১৩বি ধারা অনুসারে কোনও ব্যক্তি বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করলে তা মঞ্জুর হতে ৬ মাস সময় লাগত। পারস্পরিক সহমতের ভিত্তিতে বিবাহবিচ্ছেদ চাওয়া হলেও বাধ্যতামূলক ভাবে ওই সময়সীমা মেনে চলতে হত। সংবিধানের ১৪২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনও বিচারাধীন বিষয়ের ‘সম্পূর্ণ আইনি নিষ্পত্তি’র জন্য সুপ্রিম কোর্ট তার বিশেষ অধিকার প্রয়োগ করে নির্দেশনামা জারি করতে পারে কিংবা রায় দিতে পারে।

আরও পড়ুন
Advertisement