(বাঁ দিক থেকে) ডোনাল্ড ট্রাম্প, নরেন্দ্র মোদী এবং জো বাইডেন। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ভোটে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের ফলে নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্কে নতুন মাত্রা আসতে পারে বলে আশাবাদী বিদেশ মন্ত্রকের একাংশ। গত চার বছরে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জমানায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মোটের উপর মসৃণ থাকলেও কয়েক দফায় বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংস্থা নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তার বদল আসবে বলে মনে করছে সাউথ ব্লকের একাংশ।
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে রাশিয়াকে সাহায্য করার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) বিভিন্ন দেশের মোট ৩৯৮ সংস্থা ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল বাইডেন সরকার। এর মধ্যে ছিল ১৯টি ভারতীয় সংস্থা এবং দু’জন ভারতীয় নাগরিক। শনিবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে আমেরিকার ওই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে বলা হয়, ‘‘মিথ্যা অভিযোগে ভারতীয় সংস্থাগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।’’ কিন্তু তার পরেও পরিস্থিতি বদলায়নি।
হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের প্রবেশের পরে পরিস্থিতির বদল ঘটতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। ট্রাম্পের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ব্যক্তিগত সম্পর্ক এখানে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করতে পারে বলে তাঁদের ধারণা। প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া, আর্থিক লেনদেন এবং কূটনৈতিক যোগাযোগে সহায়তার অভিযোগে আমেরিকার বিদেশ দফতর ১২০ ব্যক্তি ও সংস্থাকে চিহ্নিত করেছে। ট্রেজারি (অর্থ) বিভাগ চিহ্নিত করেছে ২৭০ ব্যক্তি ও সংস্থাকে। এ ছাড়া বাণিজ্য দফতর ৪০টি সংস্থাকে ‘অভিযুক্ত’ ঘোষণা করেছে। তারই ভিত্তিতে নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপ।
মোট ১৯টি ভারতীয় সংস্থা রয়েছে এই তালিকায়। এ ছাড়া গত চার বছরে ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে পশ্চিমি দুনিয়ার নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি, শেখ হাসিনার জমানায় বাংলাদেশের ভোটে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে ভারতের নিশ্চুপ থাকা, এমনকি আমেরিকার মাটিতে খলিস্তানপন্থী জঙ্গিনেতা গুরুপতবন্ত সিংহ পন্নুনকে খুনের চেষ্টায় অভিযোগে মোদী সরকারকে নিশানা করেছে বাইডেন প্রশাসন। গত সেপ্টেম্বরে আমেরিকা থেকে পন্নুন-কাণ্ডে সমন গিয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের কাছে। ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে সেই পরিস্থিতি বদলাতে পারে বলে মনে করছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের একাংশ।