Manipur Unrest

নতুন বছরে প্রথম ড্রোন হামলা পশ্চিম ইম্ফলে, বীরেন ক্ষমা চেয়ে নেওয়ার পরেও শান্ত হল না মণিপুর

কাংচুপের বাসিন্দা অজিত জানাচ্ছেন, গত তিন দিন ধরেই এলাকায় বেশ কয়েকটি ড্রোন উড়তে দেখেছিলেন স্থানীয়েরা। তাঁরা ভেবেছিলেন ওগুলি নজরদারি ড্রোন। কিন্তু ওই ড্রোনের মাধ্যমেই নিক্ষেপ করা হয় বোমা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৫৯
অশান্ত মণিপুরে জ্বলছে ঘরবাড়ি।

অশান্ত মণিপুরে জ্বলছে ঘরবাড়ি। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

নতুন বছর শুরুর সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই ফের অশান্তি মণিপুরে। বৃহস্পতিবার পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে ড্রোন-হামলা হয়েছে পশ্চিম ইম্ফলের কাংচুপ ফায়েং গ্রামে। ড্রোনের সাহায্যে ফেলা হয়েছে পর পর দু’টি বোমা। চলতি বছরে মণিপুরে এটিই প্রথম ড্রোন হামলা। তবে ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর মেলেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ কাংচুপ ফায়েং গ্রামের অস্থায়ী পুলিশ ব্যারাক থেকে মাত্র ১৫ ফুট দূরে ওই ড্রোন হামলা হয়েছে। বিস্ফোরণের স্থল থেকে বোমার প্রপেলার খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। বুধবার ঘটনাস্থল সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে পৌঁছয় ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল। তবে ওই ঘটনায় কেউ আহত হননি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কাংচুপের বাসিন্দা অজিত জানাচ্ছেন, গত ১১ নভেম্বরের পর থেকে ওই এলাকায় আর কোনও ড্রোন হামলা হয়নি। তবে গত তিন দিন ধরেই এলাকায় বেশ কয়েকটি ড্রোন উড়তে দেখেছিলেন স্থানীয়েরা। তাঁরা ভেবেছিলেন ওগুলি নজরদারি ড্রোন। কিন্তু ওই ড্রোনের মাধ্যমেই নিক্ষেপ করা হয় বোমা।

অন্য দিকে, বুধবার বিষ্ণুপুর জেলার আইগেজাং এবং লেইমারাম ওক-চিংয়ের সীমানা এলাকা থেকে বেশ কিছু অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাবাহিনীর যৌথ দল। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একটি স্নাইপার রাইফেল, একাধিক সেল্ফ লোডিং রাইফেল, ৩৬টি গ্রেনেড এবং একটি মর্টার টিউব লঞ্চার। অশান্তির আশঙ্কায় শনিবার থেকে কার্ফু জারি করা হয়েছে কাংপোকপি জেলার গেলজাংয়ে।

গত বছরের মে মাস থেকে মেইতেই এবং কুকি-জো সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসা ঘিরে উত্তপ্ত মণিপুর। মাঝে কিছু দিন বিরতির পর গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষে পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় একাধিক বাড়িঘর। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহের পাশাপাশি রাজ্যের বেশ কয়েক জন বিধায়কের বাড়িতে হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা। মুখ্যমন্ত্রী বীরেনের বাড়ির অদূরে বোমা উদ্ধার হয়। এই আবহে গত ৩১ ডিসেম্বর মণিপুরের অশান্তির জন্য সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চান মুখ্যমন্ত্রী। যা ঘটেছে, তা ভুলে গিয়ে নতুন করে শুরু করার কথা বলেন তিনি। তাঁর আশা, চলতি বছরে শান্তি ফিরবে মণিপুরে। তবে এর মধ্যেও বার বার অশান্তি ছড়াচ্ছে মণিপুরের বিভিন্ন প্রান্তে।

Advertisement
আরও পড়ুন