দিল্লিতে সংসদ ভবনের সামনে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন যুবক। ছবি: পিটিআই।
সংসদের সামনে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন যুবক। বৃহস্পতিবার দিল্লির হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর শরীরের ৯৫ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল। ফলে বাঁচার আশা ছিল ক্ষীণ। যুবকের দেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
২৬ বছরের জিতেন্দ্র কুমার উত্তরপ্রদেশের বাগপত জেলার বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, যুবক বিকম পাশ করে আইনের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু গ্রামে প্রতিবেশীদের সঙ্গে অশান্তির কারণে পড়াশোনা এগোতে পারেননি। এমনকি, দিনমজুর হিসাবে কাজ করতেও বাধ্য হয়েছিলেন। সেই কারণেই যুবক আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। যুবকের কাছ থেকে দু’পাতার যে সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছিল, তা-ও অর্ধেক পুড়ে গিয়েছে। সেই লেখা উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
২৫ ডিসেম্বর, বুধবার দিল্লিতে সংসদ ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে গায়ে পেট্রল ঢেলেছিলেন যুবক। তার পর তাতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন। জ্বলন্ত দেহ নিয়েই সংসদ ভবনের দিকে ছুটে যাচ্ছিলেন তিনি। নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে ধরে ফেলেন। দ্রুত জল ঢেলে আগুন নেভানো হয়। তার পর যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে। দু’দিন ধরে সেখানে চিকিৎসার পর যুবকের মৃত্যু হয়েছে শুক্রবার।
কেন গায়ে আগুন দিয়েছেন জিতেন্দ্র? তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা চলছে আদালতে। সেই মামলাগুলিতে নিষ্পত্তি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানোর পরিকল্পনা ছিল যুবকের। সেই কারণেই দিল্লিতে এসেছিলেন। কিন্তু কাজ হয়নি। গ্রামে অন্য একটি পরিবারের সঙ্গে তাঁর পরিবারের ঝামেলা চলছিল, জানতে পেরেছে পুলিশ।