Bizarre

মৃত্যুর পর কবর দেওয়া হয়েছিল, দু’দিন পর বন্ধুর সঙ্গে ভিডিয়ো কলে দিব্যি গল্প করলেন ‘মৃত’!

রফিকের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার দু’দিন পর এক বন্ধু তাঁকে ফোন করেন। আশ্চর্যজনক ভাবে, রফিক সেই ফোন রিসিভ করেন। বন্ধুর সঙ্গে কথাও বলেন।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
পালঘর শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:৪৯
‘Dead’ man talked with friend

ফোনে কথা বললেন ‘মৃত’ ব্যক্তি! প্রতীকী ছবি।

ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল বছর ষাটের এক বৃদ্ধের। শনাক্তকরণের জন্য তাঁর ছবি বিভিন্ন থানায় পাঠিয়ে দেয় রেলপুলিশ। সেই ছবি দেখে এক ব্যক্তি রেলপুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। দাবি করেন, মৃত ব্যক্তি তাঁর দাদা রফিক শেখ। দেহ শনাক্তকরণের জন্য রফিকের স্ত্রীকে ডেকে পাঠায় পুলিশ। তিনিও মৃত ব্যক্তিকে তাঁর স্বামী বলেই দাবি করেন। এর পরই রফিকের দেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। রফিকের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াও সম্পন্ন করে তাঁর পরিবার। তাঁর দেহ কবর দেওয়া হয়।

রফিকের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার দু’দিন পর এক বন্ধু তাঁকে ফোন করেন। আশ্চর্যজনক ভাবে, রফিক সেই ফোন রিসিভ করেন। বন্ধুর সঙ্গে কথাও বলেন। বন্ধুটির সন্দেহ হওয়ায় ভিডিয়ো কল করতে বলেন রফিককে। তিনি ভিডিয়ো কলও করেন। এবং বন্ধুকে জানান, তিনি সশরীরে বেঁচে আছেন এবং দিব্যি আছেন। ভিডিয়ো কলে রফিককে দেখে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন ওই বন্ধু।

Advertisement

তিনি তৎক্ষণাৎ রফিকের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং গোটা ঘটনাটি জানান। পরিবারের লোকেরাও ওই বন্ধুর কথা শুনে যে আকাশ থেকে পড়েছিলেন। যে ব্যক্তিকে নিজেরা শনাক্ত করে কবর দিয়ে এলেন, তা হলে তিনি কে? প্রশ্নটা ঘুরতে থাকে রফিকের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। বিষয়টি বিশ্বাস না হওয়ায় ওই বন্ধু আবার রফিককে ফোন করেন। পরিবারের সঙ্গে রফিকের কথা হয়। তাঁদের ও তিনি জানান যে, ভাল আছেন।

এর পরই রফিকের পরিবারের সদস্যরা ছুটে যান পুলিশের কাছে। তাদের কাছে বিষয়টি খুলে বলেন তাঁরা। ঘটনাটি শুনে পুলিশও থ হয়ে গিয়েছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, মাস কয়েক আগে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন রফিক। একটি নিখোঁজ ডায়েরিও করে তাঁর পরিবার। কিন্তু পরে জানা যায়, মহারাষ্ট্রের পালঘরের কাছে সাফালায় একটি ঘরে একাই থাকছিলেন রফিক। পুলিশ জানিয়েছে, যে ব্যক্তি ট্রেনের ধাক্কায় মারা গিয়েছিলেন, তিনি কে, কোথায় থাকতেন, এখন এটা খুঁজে বার করতে হবে।

আরও পড়ুন
Advertisement