— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
স্ত্রী ও তিন বছরের ছেলেকে খুন করে পালালেন স্বামী। শনিবার উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ফেরার স্বামীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে অযোধ্যার বাছড়া সুলতানপুরের একটি বস্তির ঘর থেকে এক মহিলা ও তাঁর তিন বছরের ছেলের দেহ উদ্ধার হয়েছে। মহিলার বড় ছেলে ঘরে ঢুকে মা ও ভাইয়ের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে। এর পরেই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। শুরু হয় তদন্ত। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম শাহজাহান খন্দকার। অভিযোগ, রাতে তাঁর ৩৫ বছর বয়সি স্ত্রী ও তিন বছরের ছেলেকে খুন করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান শাহজাহান। সে দিন রাতে খুনের আগে ১৩ বছর বয়সি বড় ছেলেকে বাইরে উঠোনে ঘুমাতে বলেছিলেন তিনি। এর পরেই ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘুমন্ত স্ত্রীর উপর চড়াও হন যুবক। তাঁকে খুনের পর খুন করেন ছোট ছেলেকেও।
সকালে দম্পতির বড় ছেলে ঘরে ঢুকে মৃতদেহ দু’টি দেখতে পায়। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তারাই দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। সিনিয়র পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘একজন মহিলা এবং একটি শিশু নিহত হয়েছে। তাঁরা মূলত অসমের বাসিন্দা। তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে।’’
সুলতানপুরের ওই এলাকায় গুয়াহাটির প্রায় ৪০টি পরিবারের বাস। অস্থায়ী ভাবে বস্তিতে থাকেন তাঁরা। বেশির ভাগই আবর্জনা কুড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত বেশ কিছু বছর ধরে কোনও রকম আইনি অনুমতি ছাড়াই সেখানে বসবাস করে আসছে ওই পরিবারগুলি। পুরসভা এবং পুলিশে একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। জমির মালিক পীযূষ চন্দ্র বলেন, ‘‘আমরা পুলিশ এবং মুখ্যমন্ত্রীর পোর্টালে বেশ কয়েক বার অভিযোগ দায়ের করেছি, কিন্তু জমিটি খালি করতে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আজ এই জমিতেই একজন মা ও শিশুকে খুন হতে হল।’’ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।